চিরনিদ্রায় ড. ইনামুল হক

Share Now..

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাট্যজন অধ্যাপক ড. ইনামুল হক। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ড. ইনামুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সরকারের মন্ত্রীবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। বুয়েট ও বনানী কবরস্থান জামে মসজিদে দুই দফা জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ড. ইনামুল হকের মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ, অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি, তানজিকা আমিন, নাতাশা হায়াত, মোমেনা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মীর সাব্বির, নির্মাতা অরণ্য আনোয়ারসহ অনেকে।
এর আগে ড. ইনামুল হকের প্রথম জানাজা সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বেইলি রোডে তার নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তার মরদেহ নেয়া হয় শিল্পকলা একাডেমিতে। সেখানে শিল্পী এবং তার সহকর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

দীর্ঘ ৪৭ বছর ধরে নাটকের সাথে কাজ করেছেন ইনামুল হক। ১৯৬৮ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন তিনি। পরে ১৯৯৫ সালে নিজেই নাগরিক নাট্যাঙ্গন নামে দল প্রতিষ্ঠা করেন। সমানতালে নাটক রচনা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন।

সব্যসাচী এই ব্যক্তিত্বের পুরো পরিবারই নাটকের সাথে জড়িত। স্ত্রী লাকী ইনাম, মেয়ে হৃদি হক, প্রৈতি হক আর দুই জামাতা লিটু আনাম ও সাজু খাদেম সবাই নাটক নিয়ে কাজ করেন। তাঁর এই প্রস্থান দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

পেশাগত জীবনে ড. ইনামুল হক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের অধ্যাপনা করেছেন দীর্ঘ ৪৩ বছর। বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বুয়েট খেলার মাঠে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইনামুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ড. ইনামুল হকের জন্ম ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *