চুয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে মাটি বিক্রি, বেপরোয়া মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

Share Now..

\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাঁটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পুকুর খননের নামে ফসলের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করার কারণে পাশের কৃষি জমিগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। একই গ্রামে পৃথক দু’টি স্থানে তিনটি ভেকু (মাটি খনন যন্ত্র) দিয়ে মাটি খনন করে সারারাত ধরে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ৮-১০ টি মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের বিকট শব্দে এলাকাবাসীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এদিকে ট্রাক্টরে করে অবৈধভাবে মাটি পারাপারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। মাটি উত্তোলন করে বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। হরিশপুর গ্রামবাসী জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের নেলমারি মাঠে হানেফ আলীর ছেলে আসকার আলীর কৃষি জমিতে দু’টি ভেকু এবং একই গ্রামের ফুরশেদপুর পাড়ার রহিম মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমানের জমিতে একটি ভেকু দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর মাটি উত্তোলন করে তা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে এ সকল ভেকু দিনের বেলায় মাটি উত্তোলন বন্ধ রাখলেও সন্ধার পর থেকে শুরু করে সারারাত ধরে চলে মাটি উত্তোলনের কাজ এবং উত্তোলনকৃত মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি। মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলো বেপরোয়া গতিতে বেগমপুর ও উথলী গ্রামের ভেতর দিয়ে দেহাটি সরকার ইটভাটাসহ বিভিন্ন ইটের ভাটায় মাটি পৌছিয়ে দিচ্ছে। বেগমপুর গ্রামের লিয়াকত আলী বলেন, উথলী গ্রামের মিজানুর রহমান মিল্টুর নেতৃত্বে ৮-১০টি ট্রাক্টর প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বেগমপুর ও উথলী গ্রামের ভেতর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মাটি আনা-নেওয়া করে। এলাকায় জনশ্রæতি রয়েছে এর আগে মৃগমারী সরকারি খাল থেকে এবং সন্তোষপুর ও সিংনগর গ্রাম থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রির অপরাধে মিজানুর রহমান মিল্টুর ট্রাক্টর প্রশাসন একাধিক বার আটক করে। ওই সময় জরিমানাসহ মুচলেকা দিয়ে মিল্টু তার ট্রাক্টর ছাড়িয়ে নিয়ে পুনরায় অবৈধভাবে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি শুরু করে। বেগমপুর গ্রামের ভ্যান চালক হারেজ আলী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উথলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বেগমপুর রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচল করে। এ কারণে সন্ধ্যার পর থেকে এই সড়কে ভ্যানে যাত্রী আনা-নেওয়া করা যায়না। বেগমপুর গ্রামের শুভ বলেন, মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের বিকট শব্দে আমরা অতিষ্ট। টানা ২০ দিন ধরে এভাবে চলছে গাড়ী। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের বেশি কষ্ট হচ্ছে। উথলী গ্রামের মিনারুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই গ্রামবাসী তীব্র গরম আর লোড শেডিয়ে অতিষ্ঠ। তারপর ট্রাক্টরের বিকট শব্দে আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। গ্রামের মধ্যে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চলাচলে যেকোনো সময় বড়ো ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা দÐনীয় অপরাধ। তা সত্তে¡ও এতোদিন ধরে কিভাবে মাটি বিক্রি হচ্ছে? মাটি খেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উথলী গ্রামের তকীবুর রহমান বলেন, মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের কারনে গ্রামীণ সড়কগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মাটির স্তুপ রাস্তার উপরে পড়ার কারনে সামান্য বৃষ্টিতেই দূর্ঘটনা ঘটবে। অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ ও ইটভাটায় বিক্রি বন্ধে এলাকাবাসী প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

5 thoughts on “চুয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে মাটি বিক্রি, বেপরোয়া মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  • May 20, 2024 at 12:18 pm
    Permalink

    Today, I went to the beach front with my children. I found a sea shell and gave it to my 4
    year old daughter and said “You can hear the ocean if you put this to your ear.” She placed the shell to her ear and screamed.

    There was a hermit crab inside and it pinched
    her ear. She never wants to go back! LoL I know this is entirely off topic but I had to tell someone!

    Reply
  • May 20, 2024 at 12:23 pm
    Permalink

    I like the helpful info you provide in your
    articles. I’ll bookmark your blog and check again here regularly.
    I am quite sure I will learn many new stuff right here!
    Best of luck for the next!

    Reply
  • February 12, 2025 at 9:46 pm
    Permalink

    Hi to every one, it’s really a good for me to pay a quick
    visit this website, it consists of priceless Information.

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *