চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা

Share Now..

\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
আবহাওয়া জনিত কারণে চুয়াডাঙ্গায় নিউমোনিয়া, জ্বর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগী রয়েছে শিশুরা। এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে প্রতিদিন অসংখ্যহারে ভর্তি হচ্ছে রোগী। সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চাপ রয়েছে হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও। প্রতিদিন জ্বর, ঠান্ডা, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ৮শ থেকে ১ হাজার শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠিক এ সময়ে আবহাওয়াও পরিবর্তন এর কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অতিরিক্ত যতœ ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই। শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবার) সকালে সদর হাসপাতালের পুরনো ভবন ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমান পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকি পুরনো ভবনের ক্লপসিবল গেটে পর্যন্ত পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু রোগীরা। একদিকে শিশু রোগীদের যেমন চাপ, তেমনই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা। গত ৯ দিনে অর্থাৎ ৭ অক্টোবার থেকে ১৫ অক্টোবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডের মোট ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪শ শিশুর ও বেশি রোগী। এরমধ্যে ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন। শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রেহেনা পারভিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এবার অতিরিক্ত হারে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট অপরদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, গত ৪ দিন আগে হঠাৎ করেই আমার ছেলের প্রচÐ জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও কম না হলে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন, আমার নাতী জ্বর ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা বেগতিক হলে গত সোমবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোন জায়গা নেই। নাতীকে নিয়ে মেঝেই চিকিৎসা দিচ্ছি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি বেড়েছে বয়োবৃদ্ধের। তবে এরমধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *