চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
রবিবার (২১ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ অতি তীব্র তাপদাহ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। জেলার হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে দিন দিন বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন থেক জেলায় হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে জেলার ৪ উপজেলায় হিট এলার্ট জারীর মাইকিং করা হচ্ছে। গরমে স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। একইসঙ্গে চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে বলা হচ্ছে। গরমে অস্বস্তি কিংবা অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক দিন থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে চুয়াডাঙ্গায়। ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশিমক ৬ ডিগ্রি সেলিসয়াস, ১৭ এপ্রিল ৪০ দশিমক ৮ ডিগ্রি সেলিসয়াস, ১৮ এপ্রিল ৪০ দশিমক ৪ ডিগ্রি সেলিসয়াস, ১৯ এপ্রিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেকর্ড করা হয়। সর্বশেষ রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রী দশমিক ২ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ২০ শতাংশ। বেলা ৩ টায় তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীক‚ল। অব্যহত তাপদাহে দিন দিন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।