চুরি করতে করতে সকাল, ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চাইলেন চোর
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজারে চুরি করতে গিয়ে একটি দোকানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এক চোর। এ সময় নিজেকে উদ্ধার করতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঐ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আটক মো. ইয়াছিন খাঁ বুধবার সকালে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জানান, তিনি খুব বিপদে পড়ছেন। তাকে যেন দ্রুত পুলিশ এসে উদ্ধার করে। এ সময় তাকে কনফারেন্সে রেখে ৯৯৯ থেকে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ডিউটি কর্মকর্তাকে জানানো হয়-সম্মানিত একজন সিটিজেন বিপদে পড়েছেন। তাকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেন। এ সময় কনফারেন্সে থাকা ইয়াছিন খাঁ তাকে কোথা থেকে উদ্ধার করার প্রয়োজন সেই ঠিকানা জানান। কিন্তু চুরি করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন, এ বিষয়ে ৯৯৯ বা ডিউটি কর্মকর্তাকে কিছুই বলেননি ইয়াছিন খাঁ।’ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘থানা থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ সদস্যরা গিয়ে এআরখান বাজারে ঝন্টু হাওলাদারের মুদি দোকানের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে উদ্ধারের সময় দোকানের মালামাল তছনছ করা ছিল। দোকানের দামি মালামাল ব্যাগে ভর্তি করা হয়েছিল। তার ওপর পুলিশের সন্দেহ হচ্ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘এরপর দোকান থেকে বের হতে তার অসুবিধা কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের ইয়াছিন খাঁ বলেন-চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে গেছে। লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে, তার রক্ষা হতো না। তার জীবনের ঝুঁকি ছিল। তার এসব কথা শুনে উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা কিছুটা অবাক হয়েছেন। পরে তাকে চুরি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেফতার মো. ইয়াছিন খাঁ (৪১) পরিবার নিয়ে বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। পুলিশ জানায়, মো. ইয়াছিন খাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
Your ultimate gaming adventure starts now Lucky Cola