চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর আনিছুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউল করিম, এনডিসি জাকির হোসেন,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিকুজ্জামান,সাদাত হোসেন, জেলা আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান,জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম সহ সরকারী দপ্তর সমুহের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন। সভায় নির্বিঘ্নে ও সুষ্ট পরিবেশে ঈদুল ফেতর উদাপনেরম জন্য উন্মুত্ত আলোচনা হয়। যে সকল ঝুকি পূর্ন ঈদগাহ ময়দান আছে সেখানে পুলিশ ফোর্স নিয়োগ দেওয়ার সিন্ধান্ত হয় এবং ৯৯৯ এ কল করে যে কোন আইন শৃংখলা অবনিতর খবর দিলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া উঠতি বয়সী যুবকদের বেপরোয়া গাড়ী চালানো,পাড়া মহল্লায় উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র,সাউন্ডবক্স বাজানো,আলমসাধু,করিমন,ট্রাককরে বক্স বাজানোর উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হয়। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা পৌরমেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের প্রস্তাব অনুযায়ী জুম্মাতুল বিদা’র খুতবায় উপরোক্ত বিধি নিষেধগুলো উল্লেখ করার জন্য জেলা প্রশাসক আসিনুল ইসলাম খান ইসলামী ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন,প্রত্যেক অভিভাবক যদি তার সন্তানকে বেপরোয়া অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে তাহলে ভালো হয়। শুধু প্রশাসন বা পুলিশের উপর নির্ভর না করারও আহবান জানান। অভিভাবক ব্যবস্খা নিতে ব্যর্থ হলে প্রশাসন তখন ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সভায় উপস্থিত সকলকে ও জেলাবাসীকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সভার কার্যকম শেষ করেন।