চুয়াডাঙ্গায় শালিস বৈঠকে শ্বশুর-শাশুড়িকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছে জামাই
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর আব্দুল
মান্নান (৫০) ও শাশুড়ি রিক্তা খাতুন (৪৫) ক্ষত-বিক্ষত করেছে। অভিযুক্ত
জামাই আরিফ হোসেন (২৫) জাফরপুরে জাহিদুলের ছেলে বিরুদ্ধে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার জাফরপুর গ্রামে ছেলের
বাড়িতে (জামাই আরিফ) শালিস বৈঠকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত শ্বশুর আব্দুল মান্নান বলেন, গত দুই বছর আগে আমার মেয়ে মিম খাতুনকে
(২০) পার্শ্ববর্তী গ্রাম জাফরপুরে জাহিদুলের ছেলে ব্যবসায়ী আরিফ হোসেনের
সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। এরপর থেকে তাদের মাঝে খুঁটিনাটি বিষয়ে
ঝগড়া হতেই থাকে। কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে আবার গ-গোল হয়। ও মেয়ে মিমকে
মারধর করে জামাই আরিফ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়ে বিষয়টি আমাদের জানালে মীমাংসার জন্য বুধবার বিকালে
আমি ও আমার স্ত্রী রিক্তা জামাই আরিফ হোসেনের বাড়িতে যায়। সেখানে
মীমাংসার একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে জামাই আরিফ আমাদের ছুরি দিয়ে জখম করে।
পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা আমাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে
ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. সাজিদ হাসান
বলেন, তাদের দুজনের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের জখম চিহ্ন রয়েছে। দুজনের
শরীরে মোট ১৫/২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা
দিয়ে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান ফখরুল
আলম জানান, জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর-শাশুড়ি জখম হয়েছে বলে জেনেছি।
তারা দুজনেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে এখনো
অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।