চেয়ারম্যানের কাঠের ব্রীজটি এখন ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা

Share Now..

\ শৈলকুপা প্রতিনিধি \
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুষ্টিয়া প্রধান সেচ খালের ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় বিপাকে পড়েছিল ২০ গ্রামের সাধারণ মানুষ। ব্রীজটি উপজেলার ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলমবাড়ি চরপাড়া সেচ খালের উপর অবস্থিত। এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ি জেলার ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও ছোট বড় শতশত যানবাহন চলাচল করত। বেশ কিছু দিন ধরে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় চরম জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। পাউবো কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শিকদার বিকল্প হিসাবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিজ অর্থায়নে একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। আর তাতেই খুশী ২০ গ্রামের সাধারণ জনগণ।গতকাল শুক্রবার থেকে এই কাঠের ব্রীজ দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে।
এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, সেচ খালের ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ে আছে পাশেই এই সেচ খালের উপর একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও সাধারণ মানুষ তাদের ছোট খাট যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে। উপজেলা শহর হয়ে খুলুমবাড়ি গড়াই নদীর ঘাট পার হয়ে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের প্রধান সড়কের এই কাঠের ব্রীজ এটি। শৈলকুপার খুলুমবাড়ি, চরপাড়া, মাদলা, পূর্ব মাদলা, নলখোলা, জালশুকা, হাকিমপুর, হরিহরা, সাধুহাটি, ররিয়া, খালকুলা, কাতলাগাড়ি, কাশিনাথপুর, ডাউটিয়া ও রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার সুবর্ণখোলা, ভাতশালা, কেয়াগ্রাম, কসবামাঝাইল, নটাভাংগাসহ ২০টি গ্রামের জনসাধারণ তাদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে শৈলকুপা বাজার ও খুলুমবাড়ি বাজারে যাতায়াত করছে সেচ খালের এই কাঠের ব্রীজ দিয়ে।
চরপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আজিজ শেখ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ খালের এ ব্রীজটি দিয়ে হাকিমপুর ইউনিয়নসহ আশে পাশের আনুমানিক ২০টি গ্রামের জনসাধারণ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে শৈলকুপা ও খুলমিবাড়ি বাজারে যাতায়াত করে থাকে। ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ভেংগে রয়েছে। কেউ এগিয়ে আসেনি তাই চেয়ারম্যান নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজ অর্থায়নে কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে দিয়েছেন এতে জনসাধারণের দূর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে।
চরপাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজটি নিয়ে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অনেকবার বলেছেন কিন্ত তারা কোন কর্নপাত করেন না। চেয়ারম্যান কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেছে এতে আমরা খুব খুশি।
উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান ইকু শিকদার বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি ভেংগে পড়ে আছে। জন সাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজ অর্থায়নে এই কাঠের ব্রীজটি তৈরী করে দিলাম। আশা করি কিছুটা হলেও জনদুর্ভোগ কমবে। তবে দ্রæত ব্রীজটি স্থায়ী ভাবে নির্মাণের দাবী আমাদের।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, এই ব্রীজের জন্য বরাদ্দ চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুনেছি বিকল্প হিসাবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একটি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *