চোর আখ্যা দিয়ে হত্যার ১৫ বছর পর রায়, ৩ জনের যাবজ্জীবন
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চোর আখ্যা দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ৩ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত। ১৫ বছর আগে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ওই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের নলবিলার দরগাহ পাড়া গ্রামের নুরুল আমিন প্রকাশ মো. নুরু মিকারের ছেলে ছাবের আহমেদ (৪৬) ও তার ভাই মহিউদ্দিন (৩৮) ও পূর্ব কৈয়ারবিলের ইসলাম নগরের ইছহাক আহামদের ছেলে গিয়াস উদ্দীন (৪১)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২২ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টায় স্বামীর চিকিৎসার টাকার জন্য বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং (ভুট্টোর বনজ খামার বাড়ি) থেকে চকরিয়ার ইসলাম নগরের বনজ খামারের ভুট্টোর বাড়ি যাচ্ছিলেন মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী নুরুচ্ছালাম। রাত ৯ টার পরপর তারা ইসলাম নগরে ষ্টেশনে পৌঁছায়। তখন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাজাপ্রাপ্ত ছাবের আহেমদসহ আরও কয়েকজন তাদেরকে চোর চোর বলে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই গাছের সাথে বেধে পেটায় আসামীরা। পরে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত নুরুচ্ছালাম মারা গেলে তাকে বাঁধন খুলে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই চকরিয়া থানায় ছাবের আহমেদের নাম উল্লেখ করে ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে মরিয়ম বেগম।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলি সুলতানুল আলম বলেন, ২০০৮ সালের ১৪ মে ওই হত্যা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামীর উপস্থিতিতেই তিনজনকেই যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্তদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।