চৌগাছার বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে সর্বত্র আলোচনা, ৪টি পদে জহুরুল ও সালাম প্যানেলে ৮ জন প্রার্থী

Share Now..

\ চৌগাছা প্রতিনিধি \
বিগত ক্ষমতাসীন দলের একের পরে এক মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও বিভিন্ন কারনে যশোরের চৌগাছা উপজেলা বিএনপি ছিল একপ্রকার কোনঠাসা। কোটের বারান্দা আর আইন শৃংখলা বাহিনীর ভয়ে অনেকেই আত্মগোপনে রাত কাটিয়েছেন। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীও তেমন পালন করতে পারেনি দলের নেতাকর্মীরা। ঠিক এই অবস্থায় উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। ৪টি পদে জহুরুল ও সালাম প্যানেলে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিএনপির এই কাউন্সিলকে ঘিরে ইতিমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। তবে কে হচ্ছেন দলের কান্ডারি তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। বিএনপির দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চৌগাছা উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচন ভোট গ্রহণ। যশোর জেলা বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চারটি পদে সরাসরি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পদ চারটি হচ্ছে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক। ভোট গ্রহণ করা হবে চৌগাছা ডিভাইন সেন্টারে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন দুটি প্যানেল অংশ গ্রহণ করছে। প্যানেল দুটি হচ্ছে জহুরুল-ইউনুচ এবং সালাম-হাসান প্যানেল। জহুরুল প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইউনুচ আলী দফাদার। এই প্যানেলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বিএম আজিম উদ্দিন ও বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম। অপর দিকে সালাম প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুল হাসান। এই প্যানেলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়ছেন সাবেক ছাত্রনেতা পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আলীবুদ্দিন খান। ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৮১ জন। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএনপির কমিটির গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে দল গোছানোর বিষয়টি ঘোষণা আসলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা বিএনপি। শেষমেশ গত ২৭ আগস্ট উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে মর্মে জেলা নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন। সেই মোতাবেক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক দৌড়ঝাপ শুরু হয়। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলন ও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ফলে নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের দিন নির্ধারণ করা হয়। তারিখ পরিবর্তন হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন প্রভাব পড়েনি। বরং আগামী কাউন্সিল নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *