ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৩২ শিশু-কিশোর ও ১১ নারীর মৃত্যু

Share Now..

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মোট ১৩২ শিশু-কিশোর এবং ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত ৮৬৫ জনের মৃত্যুর তথ্য ডেটাবেজে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮২ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্যে মৃতের সংখ্যা ৮৬০ বলা হয়েছে।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, শহীদ ১১ নারীর মধ্যে রয়েছেন মায়া ইসলাম, মেহেরুন নেছা, লিজা, রিতা আক্তার, নাফিসা হোসেন মারওয়া, নাছিমা আক্তার, রিয়া গোপ, কোহিনূর বেগম, সুমাইয়া আক্তার, মোসা. আক্তার ও নাঈমা সুলতানা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ৭ অক্টোবর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মাননা ও অর্থসহায়তা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় শহীদ ১০৫ শিশু–কিশোরের পরিবারকে। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৮৩ শহীদের পরিবারকে সম্মাননা ও সহায়তা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে চার শহীদ শিশুর অভিভাবক জানান, তাদের নাম তালিকায় নেই। এরপর অন্যান্য মাধ্যম থেকে আরও ২৩ শিশুর পরিবারকে শনাক্ত করা হয়। ফলে আরও ২৭ জন শহীদ শিশুর নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২২ অক্টোবর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আট বিভাগের মধ্যে আহত ১৫ হাজার ৬৫৯ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৩ হাজার ৪২১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ২৩৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শহীদদের মধ্যে বরিশালে ১০৪ জন, চট্টগ্রামে ১২০ জন, খুলনায় ৬৮ জন, ময়মনসিংহে ৭৪ জন, রাজশাহীতে ৫৪ জন, রংপুরে ৬১ জন এবং সিলেটের ৩২ জন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *