ছুটিতে থাকায় হোয়াইট হাউজে যেতে পারেননি মেসি

Share Now..

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি, সময়ের তো সেরা খেলোয়াড় বটেই। কারো কারো চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলারও তিনি। বিশ্ব জুড়ে এই কিংবদন্তির রয়েছে অগণিত ভক্ত-সমর্থক। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে ২০২৩ সালে ফুটবলের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন মার্কিন মুল্লুকে। খেলছেন দেশটির প্রথম সারির ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে মেজর সকার লিগে ভেড়ানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশটির ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো এবং ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। এমন পরিকল্পনায় সফলও হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজেদের বিদায় বেলায় গতকাল হোয়াইট হাউজে ১৯ জনকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ সম্মান দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৯৬৩ সাল থেকে সর্বোচ্চ বেসামরিক এই সম্মাননা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৫ সালের সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসন, হলিউড তারকা ডেনজেল ওয়াশিংটন, বাইডেনের সাবেক সেক্রেটারি ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনসহ মোট ১৯জন। তবে শুধু মাঠের খেলায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি এলএম-টেন। লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্ব জুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন এই কিংবদন্তি। পালন করেছেন ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্বও। মূলত আর্জেন্টাইন তারকার এমন প্রশংসিত অসামান্য কর্মকাণ্ডের কারণে দেওয়া হয়েছে এই সম্মাননা। এই নিয়ে অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র মেসিকে নিয়ে বলেন, ‘লিওনেল মেসি পেশাদার ফুটবলে ইতিহাসের সবচেয় বড় খেলোয়াড়। তিনি তার লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য শিশুর জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করে আসছেন।’ বিশ্বের প্রথম পুরুষ ফুটবলার হিসেবে ‘প্রসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ জিতলেন মেসি। এর আগে ২০২২ সালে এই সম্মাননা পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নারী ফুটবলার মেগান র‍্যাফিনোয়া। 

তবে বাইডেনের হাত থেকে সেই সম্মাননা নিতে পারলেন না লিওনেল মেসি। সেটা নিয়েও চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সরাসরি সম্মাননা গ্রহণ করতে পারবেন না মেসি, সেটা ইন্টার মায়ামি ও মেসির তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে। কেননা, যে সময়ে সম্মাননা দেওয়া হবে, সেই সময় পরিবার নিয়ে ছুটি কাটানোর কারণে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে পারবেন না মেসি। অনুষ্ঠানে দেখা গেছে একই চিত্র। মেসির বদলে বাইডেনের হাত থেকে অন্য একজন এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। তবে অংশগ্রহণ করতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেন মেসি। পরবর্তীতে বাইডেনের সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ বারের মতো আমি আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘মেডেল অব ফ্রিডম ‘প্রদান করার সম্মান পেয়েছি। যারা এই সম্মাননা পাচ্ছেন, তারা সবাই অসাধারণ ব্যক্তি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি এবং উন্নয়নে অবিচল কাজ করে যাচ্ছেন।’ এছাড়াও এই সম্মাননা নিয়ে গেল পরশু রাতে এক বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউজ। সেখানে বলা হয়েছে- সম্মাননা পেতে যাওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রকে আরো এগিয়ে নেওয়ার স্বীকৃতি পাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বাস করেন, বড় নেতারা বিশ্বাসে অবিচল থাকেন, সবাইকে প্রাপ্য সম্মান দেন এবং ভালো আচরণকে সবার ওপরে স্থান দেন। এই ১৯ আমেরিকানের প্রত্যেকেই ভালো নেতা, যারা কিনা আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তারা দেশ ও বিশ্বের মঙ্গলের ভূমিকা রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *