ছুটির দিনে বেশি ঘুমান?

Share Now..

সারা সপ্তাহের কাজের পর বেশির ভাগ মানুষই ছুটির দিনে কিছুটা আলসেমি করতে চান। অনেকে হয়তো ‘ঘুমিয়ে’ই কাটিয়ে দেন সারাদিন। যদিও এই ঘুম কারও কাছে অতি জরুরি, কারও কাছে নিতান্তই বিলাসিতা। 

তবে গবেষণা বলছে, ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুমের আছে স্বাস্থ্যগত সুফল। সেই অতিরিক্ত ঘুম আবার দিনে ৯–১০ ঘণ্টার বেশি নয়। যারা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে গড়ে ছয় ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান, তারাই এই সুফল অধিক ভোগ করবেন। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই এই স্বাস্থ্যগত সুফল সমানভাবে কার্যকর।  চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেসব সুফল- 

১. সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে ঘুমের এমন অভ্যাস মানুষের হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। নতুন এ গবেষণা বলছে, ছুটির দিনে ঘুম মানুষের হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। তবে হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে (একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা) অন্তত সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম সবচেয়ে ভালো।

২. ছুটির দিনে ঘুমের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা না করা এবং ইচ্ছামতো জাংক ফুড, ভাজাপোড়া, কোমল পানীয় খাওয়ার ফলে মানুষের ওজন বাড়ে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমে যায়। তাই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম তো সহায়ক বটেই, এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।

৩. সপ্তাহের ছুটির দুই দিন যদি আপনি দুই–তিন ঘণ্টা বেশি ঘুমান আর অন্যান্য দিন ছয় ঘণ্টা ঘুমান, তাহলে গড়ে আপনি ঘুমান সাত ঘণ্টা। ছুটির দিনের এই বাড়তি ঘুম আপনার প্রয়োজনীয় স্মৃতি সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করে। 

সারা সপ্তাহের চাপ সামলে নতুন করে একটা কর্মব্যস্ত সপ্তাহের জন্য নিজেকে তৈরি হতে সাহায্য করে। ফলে সপ্তাহের নতুন পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব মাথার ভেতরে ভালোভাবে সাজিয়ে, সে অনুযায়ী কাজ করা সহজ হয়।

৪. ছুটির দিনের বাড়তি ঘুম আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। আপনাকে মানসিকভাবে সারিয়ে তোলে। চাপমুক্ত করে। ফলে ব্যক্তিগত ও পেশাজীবনে আবেগীয় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ–ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে সাহায্য করে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *