ছেলের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেলো মা-সহ ২ জনের

Share Now..

বরগুনার আমতলীতে ছেলের লাশ আনতে গিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনায় মাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি রোববার (৩০ জুন) সকাল ৬টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ি নামক স্থানে ঘটেছে। 

নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার (৩৫) ও পুস্প বেগম (৬৫)।  

জানাগেছে, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামের আলম হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ছেলে আলম হাওলাদারের লাশ নিয়ে মা পুস্প বেগম (৬৫) ও আলম হাওলাদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম রোববার সকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ি গন্ডামারি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তার বাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা লাগে। এতে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পরে যায় এবং মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুড়চে যায়। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন খাদে পরা অ্যাম্বুলেন্স থেকে মৃত্যু ছেলে আলম হাওলাদার ও মা পুস্প বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। 

নিহত মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকাদারের বাড়ি আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে। তার বাবার নাম আনসার সিকদার। এ ঘটনায় আলম হাওলাদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩৫) ও মটরসাইকেলের যাত্রী মনিরুল ইসলাম (৪০) আহত হয়েছেন।

নিহত পুস্প বেগমের নাতি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার বাবা আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যান। বাবার লাশ আমার দাদি পুস্প বেগম নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় আমার দাদি মারা গেছেন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার মা মাকসুদা বেগমও আহত হয়ে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।’
 
নিহত মোটরসাইকেল চালক রুবেল সিকদারের স্বজন নাশির উদ্দিন নশা মৃধা বলেন, ‘আমতলী থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।’   

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *