জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ \ বাঁধা দিলে বাড়িতে ঢুকে হামলা

Share Now..

\ ঝিনাইদহ অফিস \
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামে অন্যের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার সময় জমির মালিক বাঁধা দিলে বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত ১০টার সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোলা গ্রামের পূর্বপাড়ার রেজাউল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে রেজাউল ইসলামের ছেলে শিপন বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেন।
জানা যায়, জমির মালিক রেজাউল মিয়ার সাথে প্রতিবেশি শুকচাঁন মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুকচাঁন মিয়া বাড়ি নির্মাণ করার সময় প্রতিবেশি রেজাউল মিয়ার বাড়ির সিমানার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছিল। এসময় রেজাউল মিয়া ও তার ছেলে শিপন ঘর নির্মাণে বাঁধা দিলে তাদের উপর একপ্রকার ক্ষোভ তৈরী হয়। সেই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়িতে হামলা করে প্রতিবেশি শুকচাঁন মিয়া তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন এবং তার ছেলে বকুল ও আসিফ। হামলার সময় রেজাউল মিয়ার পরিবারের সবাইকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে রেজালউল মিয়ার স্ত্রী বাহরণ নেছা ও শিপনের ছেলে ইমরান গুরুতর আহত হয়। আহত আবস্থায় শিপনের ছেলে ইমরানকে ঝিনাইদহ সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়। এবিষয়ে বাদী শিপন মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে ছিলেন। সেসময় প্রতিবেশিরা নিজেদের ইচ্ছামতো জমি পরিমাপ করে সিমানা নির্ধারণ করে। পরে তিনি দেশে আসার পর ওই জমি পরিমাপ করতে চাইলে প্রতিবেশি শুকচাঁন মিয়া ও তার ছেলেরা বাঁধা দেয়। জমি পরিমাপ না করেই ওই জমির উপর ভবন নির্মাণ করছে। সেময় আমরা জমি পরিমাপ না করে ভবন নির্মাণ করতে বাঁধা দিলে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে রাতের আঁধারে আমাদের বাড়িতে হমলা করে। সেসময় আমার ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করাসহ আমার স্ত্রী, মা ও বাবাকে বেধড়ক মারপিট করে। এছাড়া হামলার সময় আমার স্ত্রীর একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমরা এর সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার প্রত্যশা করি। শুকচাঁনের স্ত্রী আকলিমা জানান, এর আগে শিপন বিদেশ থাকাকালীন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও পুলিশের উপস্থিথিতে এই জমি পরিমাপ হয়েছিল। আমরা আমাদের সিমানাতে বাড়ি নির্মাণ করছি। এখন শিপন দেশে ফিরে এসে এই জমি আবারো পরিমাপের কথা বলে। সে আমাদের ঘর নির্মাণ করতে বাঁধা দেয়। সে জমি পরিমাপ না করে ঘর নির্মাণ করতে দিবে না। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সবাই উত্তেজিত হলে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন উদ্দীন জানান, জমিজমা বিষয়ে মারামারি ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *