জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে বাঙালি জাতি। শনিবার (২৬ মার্চ) জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে গেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।
জনতার স্রোত যেখানে গিয়ে মিশছে সেখানেই ফুটে উঠছে লাল-সবুজ। কপালে ও গালে জাতীয় পতাকা, পরনে লাল-সবুজের পোশাক। হাতে হাতে ফুল। লাল-সবুজের শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘণ্টা না পেরোতেই পুষ্পাঞ্জলিতে ভরে যায় স্মৃতিসৌধ।
ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল। পাশ থেকে বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রীয় আয়োজন শেষে স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের।ভিভিআইপি যাতায়াতের কারণে ফজরের আগ থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়।
Enter a world of thrilling online challenges! Lucky Cola