জাপান সাগরে ১০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া

Share Now..

দেশের পূর্ব সীমান্তে জাপান সাগরে একের পর এক স্বল্প পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে অন্তত ১০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পিয়ংইয়ং। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘উসকানিমূলক’ উল্লেখ করে আরো বলা হয়েছে, এ ইস্যুতে শিগিগরই যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আলোচনা করবে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে জাপানও। বৃহস্পতিবার সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের সমুদ্রসীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে আঘাত হেনেছে। ‘উসকানিমূলক’ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

গত সোমবার সিউলে ‘কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র থেকে মুক্ত করা’ ইস্যুতে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এই তিনটি দেশ একটি ত্রিপক্ষীয় আঞ্চলিক জোটের সদস্য। এই জোটের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালে। সোমবারের সেই বৈঠকের কঠোর নিন্দা জানায় পিয়ংইয়ং। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএতে এ বৈঠককে গভীরভাবে উসকানিমূলক উল্লেখ করে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেকে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর এ ধরনের বৈঠক একেবারেই প্রত্যাশা করে না পিয়ংইয়ং। বৈঠকের নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে বেশ কিছু বেলুনও উড়িয়েছিল উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। সেই বেলুনগুলোতে গ্যাসের পাশাপাশি আবর্জনা ভরা হয়েছিল।

এর মধ্যে সোমবার যেদিন তিন দেশ সিউলে বৈঠক করে, সেদিনই মহাকাশে নজরদারি স্যাটেলাইট উেক্ষপণের চেষ্টা করে উত্তর কোরিয়া, কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কিম জং উন অবশ্য পরে এক ভাষণে জানান, ব্যর্থতা এলেও পিয়ংইয়ংয়ের  মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রচেষ্টা জারি রাখবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে সেই নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দিচ্ছেন না কিম জং উন। শুক্রবার এ ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে নিরাপত্তা পরিষদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *