জার্মানির রাস্তায় শলৎস ও মাক্রোঁ

Share Now..


পটসড্যাম শহরে হঠাৎ জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। স্থানীয় সময় বুধবার দুই নেতা দীর্ঘ সময় ধরে নৈশভোজ-বৈঠক করেছেন। তার আগে রাস্তায় নেমে হাঁটতে দেখা যায় দুই নেতাকে।তারা পুরনো বাজারে হাঁটেন, মিউজিয়াম বারবেরিনির সামনে একটি ক্যাফের বাইরে বসেন। একটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন। তারপর কাছেই ফ্রেন্ডশিপ আইল্যান্ড নামে একটি পার্কে হাঁটেন। দুজনেই সেই হাঁটার ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

তারা যখন কথা বলতে বলতে হাঁটছেন, তখন সেখানে জনা পঞ্চাশেক মানুষ ছিলেন। দুজনে একটি রেস্তোরাঁর ভিতর ঢুকে পড়েন। তাদের দেখতে জানলার কাচে উঁকি দেন বেশ কিছু মানুষ।

দীর্ঘ নৈশভোজ-বৈঠক

দুই নেতার নৈশভোজ-বৈঠক চলে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। তবে তারা সেখানে একা ছিলেন না। প্রতিনিধিদলও ছিল। তবে শলৎস ও মাক্রোঁ আলাদা টেবিলে বসেছিলেন।

মনে করা হচ্ছে, তারা ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন সমস্যাও তাদের আলোচনায় এসেছে। ঋণ নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তাব নিয়েও কথা হয়েছে।

কথা বলতে বলতে পার্কে হাঁটছেন দুই নেতা।

নৈশভোজের পর শলৎস টুইট করে বলেছেন, ”আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা একসঙ্গে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছি।”

এই বৈঠককে খুবই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এই কারণে, শলৎস ও মাক্রোঁর সম্পর্কের মধ্যে প্রথম দিকে কিছুটা টানাপোড়েন ছিল। মূলত সম্পর্ক সহজ করার জন্যই শলৎস তার নিজের শহরে মাক্রোঁকে ডেকেছিলেন। গতবছর ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য সামনে আসে। পরে তা কিছুটা সহজ হয়।

মাক্রোঁ আবার জুলাইতে আসবেন

জার্মানির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ২ থেকে ৪ জুলাই আবার জার্মানি আসছেন মাক্রোঁ। তখন আবার শলৎসের সঙ্গে প্রাতঃরাশ-বৈঠক করবেন। তার সম্মানে প্রেসিডেন্ট নৈশভোজ দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *