জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষের ফল বিশ্বকাপে কাজে আসবে না: সাকিব

Share Now..

কোথায় নেই সাকিব আল হাসান? শনিবার মাগুরা, মাদারীপুর এরপর ঢাকা এক দিনেই তিন স্থানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই তপ্ত আবহাওয়ায় এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত ছোটাছোটি তবুও তার চেহারায় নেই বিন্দু পরিমাণে ক্লান্তির ছাপ। তবে এ আর নতুন কি। আগেই বহুবার বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার জানিয়ে ছিলেন তিনি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন, তা যা নিয়েই হোক না কেন।

গতকাল বিকালে সাবেক জাতীয় দলের সতীর্থ পেসার রুবেল হোসেনের বাইকের শো রুম উদ্বোধন করতে যান সাকিব। সেখানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপের আগে চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং তার পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ফলাফল কোনো কাজেই আসবে না বলে জানান তিনি। এছাড়া এই গরমে ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বের খেলা চালানোকে অমানবিক বলেও আখ্যা দেন সাকিব।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা বিবেচনা করে আমরা যদি বিশ্বকাপ চিন্তা করি, সেটা আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে। বিশ্বকাপ সম্পূণ ভিন্ন একটা জায়গা। সেখানে আমরা যতবেশী চাপ নিতে পারব তত বেশি ভালো খেলার সম্ভাবনা থাকবে। সর্বশেষ আমরা যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি, আমার কাছে মনে হয় আমরা মোটামুটি একটা পারফরম্যান্স করেছিলাম। সেটা খুব ভালো না হলেও কেউ বলবে না যে খুব একটা খারাপ ছিল। আমি আশা করব সেখান থেকে যদি আমাদের শুরু হয় তাহলে এই বিশ্বকাপটা হবে আমাদের সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রথম রাউন্ডের (বিশ্বকাপে) তিনটা ম্যাচে জিততে হবে, তা যদি করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য মোটামোটি ভালো একটা অর্জন হবে সেখান থেকে পরবর্তীতে চিন্তা করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষেই চলতি মাসেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ খেলার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আমাদের খেলার বড় কারণ হলো কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। সেইসঙ্গে সেই জায়গাটা সম্পর্কে জানা। আমাদের খুব বেশি খেলোয়াড় নেই যারা সেখানে খেলেছে। ফ্লোরিডাতে হয়তো আমাদের কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের ঐ জিনিসটা কাজে লাগবে যে আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। তবে অবশ্যই এটা আদর্শ প্রস্তুতি না। আমি আগে যেটা বললাম যে আপনি যখন একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে যাবেন… যখন নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমরা ভালো একটি প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিলাম। সেই দিক দিয়ে চিন্তা করলে অবশ্যই এটা আদর্শ নয় তবে মনে হয় এটাই আমাদের কাছে সেরা সুযোগ ছিল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *