জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চায় ইসরায়েল

Share Now..

কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজা থেকে সকল জিম্মি মুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদ সাইট ‘অ্যাক্সিওস’ সোমবার এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি হবে একাধিক পর্যায়ে; যার মধ্যে প্রথমে নারী ও পুরুষদের মধ্যে যারা গুরুতর অসুস্থ তাদের ৬০ এর বেশি মুক্তি পাবে।

পরবর্তী পর্যায়গুলোতে নারী সৈন্যদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হবে; এরপর কম বয়সী বেসামরিক পুরুষ, পুরুষ সৈন্য এবং মৃত জিম্মিদের দেহ ফেরত আনা হবে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, চুক্তির অধীনে ইসরায়েলে অনির্ধারিত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে থেকে মুক্তি পাবে, তবে সকলে নয়।

প্রস্তাবটিতে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত নয় তবে এতে গাজার প্রধান শহরগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি কমিয়ে আনা হবে এবং ধীরে ধীরে বাসিন্দাদের ভূখন্ডের বিধ্বস্ত উত্তরে ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হবে।

ইসরায়েলের ওয়েবসাইট ‘ই-নেট’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চুক্তিটি বাস্তবায়নে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওয়েবসাইটটি জানায়, সোমবার জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে একটি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রস্তাবের খবর আসার পর মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, নতুন জিম্মি মুক্তি চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক হোয়াইট হাউসের সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্ক মিশর ও কাতারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য এই অঞ্চলে অবস্থান করছেন।

৭ অক্টোবর হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার সময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩২ জন জিম্মি রয়েছে।  
এএফপি জানায়, ইসরায়েলি হিসেবে জিম্মিদের মধ্যে সেখানে অন্তত ২৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ রয়েছে।

৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে ইসরায়েল নির্বিচারে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ২৫ হাজার ২৯৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *