জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম হয়রানি \ ডাঃ রুপা রোগী না দেখে দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন এসি রুমে \ ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত
\ জীবননগর প্রতিনিধি \
জীবননগর হাসপাতাল নানা সমস্যয় জর্জরিত চিকিৎসক সংকট, ঔষধ সংকট নানা সংকটের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে এই হাসপাতালটি। এ যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে গত বৃহস্পতিবার জীবননগর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রুপার ডিউটি থাকলেও তিনার রুম খোলা আছে কিন্তু ডাক্তার নেই অবশেষে তিনি আসলেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। একই অবস্থা শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরের দিকে ডাঃ রুপার ডিউটি থাকলেও তিনি জরুরি বিভাগে না বসে একটি এসি রুমে দরজা বন্ধ করে বসেছিলেন আর জরুরি বিভাগে কোন চিকিৎসক না থাকায় রোগীরা চরম হয়রানির শিকার হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলীপুর গ্রামের দিনমজুর হাতেম আলী বলেন, আমার জ্বর এসেছিল সেজন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম অনেকক্ষণ যাবৎ বসে ছিলাম কোন ডাক্তার পায়নি একটা মহিলা ডাক্তার ছিল তিনি রোগী না দেখে দরজা বন্ধ করে বসে ছিল। একই অভিযোগ করেন, বাকা গ্রামের কোহিনূর বেগম বলেন, জরুরি বিভাগে ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না একজন মহিলা ডাক্তার ছিল তিনি দরজা বন্ধ করে বসে ছিল। এদিকে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার সাংবাদিক চাষি রমজানকে ডাঃ রুপা লাঞ্চিত করেন। সাংবাদিক চাষি রমজান বলেন, আমি হাসপাতালে যেয়ে দেখি রোগীরা দাড়িয়ে আছে জরুরি বিভাগে কোন চিকিৎসক নাই আমি ওই রুমের একটা ভিডিও নেওয়া মাত্রই পাশের রুম থেকে দরজা খুলে ডাঃ রুপা বেরিয়ে এসে তড়িঘড়ি করে রোগী দেখতে শুরু করে এবং আমাকে বলে আপনি কার অনুমতিতে ছবি তুললেন। এবং তিনি আমাকে লোকের মধ্যে অপমান করেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে জীবননগর হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে জড়িত থাকায় রোগীদের একাধিক পরীক্ষা দিয়ে বাড়তি আয় করছে। তাছাড়া ডাঃ রুপা এর আগে স্থানীয় বেশ কিছু সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচার-আচরণ করেছিলেন। তার কারনে জীবননগর হাসপাতালটির সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃকর্মকর্তা ডাঃ সাফিউল্লাহ নেওয়াজ বলেন, হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সব সময় চিকিৎসক থাকার কথা যদি না থাকে তা হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।