জীবন যুদ্ধে কি সাবিনা হেরে যাবে? চিকিৎসার জন্য দরকার ৫ লাখ টাকা সন্তানের জন্য ঘোড়ার গাড়ি চালকের আর্তি
\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ডিভোর্স দেওয়া মেয়ে সাবিনাকে নিয়ে চরম বিপাকে পেড়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার বন্দেখালী গ্রামের সাকেন-মালেয়া দম্পতি। বিয়ের সময় রোগের কথা গোপন করায় স্বামী তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন সাবিনাকে। বাপের বাড়ি এসে আরেক অসুখে আক্রন্ত সাবিনা। আগে তার থ্যালাসেমিয়া রোগ ছিল। সাবিনার বয়স যখন দেড় বছর, তখন দূরের একটি গ্রাম থেকে তাকে নিয়ে আসেন সাকেন-মালেয়া দম্পতি। আদর-যতেœ বড় করে তুলতে থাকেন, স্বপ্ন বুনতে থাকেন সাবিনাকে নিয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেল। সাবিনার বয়স যখন ৭ বছর তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ধরা পড়ে থ্যালাসেমিয়া। তার পেটের প্লীহা ও লিভার বড় হয়ে যায়। সেই থেকে ধার-দেনা করে চিকিৎসা খরচ মেটাচ্ছিলেন সাবিনার বাবা সাকেন। ঘোড়ার গাড়ি চালক সাকেনের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহণ করা সে সময় ‘বামুন হয়ে চাঁদে হাত’ দেয়ার মত। তবুও কোনমতে চিকিৎসা খরচ চলছিল। এরমধ্যেই সাবিনার বিয়েও দেন। বছর খানেক পর কণ্যা শিশুর জন্ম দেন সাবিনা। স্ত্রীর থ্যালাসেমিয়া রোগের কথা জেনে ডিভোর্স দেন তার স্বামী। ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন সাবিনা। কিন্তু কে জানতো তার শরীরে আরো একটি কঠিন রোগ বাসা বেধেছে। হঠাৎ পেটের ব্যাথায় অস্থীর হয়ে উঠতো সাবিনা। চিকিৎসকের শরনাপন্ন হলে দ্রæত তাকে অপারেশন করার কথা বলেন। তাতে খরচ হবে প্রায় ৫ লাখ টাকা। এবার যেন সাবিনাকে বাঁচানোর আশা ছেড়েই দিয়েছেন সাকেন-মালেয়া দম্পতি। কারণ ৫ লাখ টাকা জোগাড় করার মত সামর্থ্য নেই ঘোড়ার গাড়ি চালক সাকেনের। ওই গ্রামের মেঠোপথ ধরে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই মিলবে সাকেন জোয়ার্দারের বাড়ি। বাড়িতে ঢুকেই চোখ পড়লো অসুস্থ সাবিনার দিকে। বিছানায় শুয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছেন অসহায় সাবিনা। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও যেন নেই। মায়ের অসুস্থতায় পাশে বসে মাথায় হাত বোলাচ্ছেন সাবিনার ৪ বছর বয়সী শিশু মেয়ে আশা। যা দেখে কাঁদছেন সাবিনার বাবা মা, কাঁদছেন উপস্থিত প্রতিবেশিরাও। কিন্তু ছোট্ট শিশু আশার যে মাকে বাঁচানোর কোন আশা ভরসা নেই অবুঝ শিশু সেটা তো জানে না। সাবিনার মা মালেয়া বেগম জানান, সাবিনাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছি। তবে অপারেশন করতে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাগবে। যা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মেয়েকে বাঁচাতে সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছি। সাবিনার বাবা সাকেন জোয়ার্দার বলেন, প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এখন আর টাকা পয়সা কিছুই নেই। মানুষের সাহায্যে দিয়েই এতদিন চিকিৎসা করিয়েছি, এখন আর কেউ টাকা দিচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ, সাকেন জোয়ারদার বিকাশ/নগদ নং ০১৮২৩-০৩৬০৩৫।