জ্যোতির অন্যরকম ‘সেঞ্চুরি’

Share Now..

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ছিল স্কটল্যান্ড। আর এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অন্যরকম এক সেঞ্চুরি করেছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এটি ছিল লাল- সবুজের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার শততম ম্যাচ।

আর এই কীর্তিতে দেশের ক্রিকেটে তিনি প্রথম নারী। যদিও মাইলফলক ছোঁয়া বিশেষ এই ম্যাচে ব্যাট হাতে খুব বেশি সুবিধে করতে পারেনি তিনি। জাতীয় দলের
হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন জ্যোতি। ২০১৫ সালে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় তার। এখন পর্যন্ত এ ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ১০০ ম্যাচের ৯৪ ইনিংসে ১৯৬২ রান করেছেন। পাশাপাশি ১ সেঞ্চুরি ও আটটি ফিফটি আছে তার নামের পাশে। এ ফরম্যাটে রানের পরিসংখ্যানে দেশের ক্রিকেটে তার পরেই আছেন ফারজানা হক। তবে বেশ পিছিয়ে রানের পার্থক্য ৭০৯ রান। অবশ্য তিনি লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না। এছাড়া ম্যাচের হিসেবে জ্যোতির পরেই রয়েছেন এর আগে সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৯৫টি। খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রুমানা আহমেদ ও নাহিদা আক্তার ৮৭টি করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

এর আগে নিজের শততম ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘অন্যরকম অনুভূতি একশতম ম্যাচ খেলার। অনেক বেশি খুশি। অনেক সময় অবাকও আসলে লাগে। মনে হচ্ছিল এই হয়তো ক্যারিয়ার শুরু করেছি। দেখতে দেখতে প্রায় একশটা ম্যাচ হয়ে যাচ্ছে। সেদিক থেকে আমি অনেক আনন্দিত।’ তবে শততম ম্যাচে ব্যাট হাতে ধুঁকেছেন জ্যোতি। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামে ১৮ বলে করেছেন ১৮ রান, সেটিও করেছেন স্কটিস ফিন্ডারদের কল্যাণে।কেননা নিজের ৭ ও ১৩ রানে দুইবার জীবন পান তিনি। এছাড়া উইকেটের পেছনেও দাঁড়িয়েও এদিন টাইগ্রেস অধিনায়ক ছিলেন ব্যর্থ। একটি ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগও হাত ছাড়া করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *