ঝড়ে লন্ডভন্ড মিরপুরের জায়ান্ট স্ক্রিন

Share Now..

ঘরের মাটিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তবে চেনা আঙিনা ও চেনা পরিবেশ হলেও ফর্ম কথা বলছে না বাংলাদেশের পক্ষে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে। গতকাল মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগ্রেস বাহিনী। 

এই ম্যাচ শুরুর আগে নিয়মিত দর্শকশূন্য গ্যালারির পাশাপাশি আরো একটি বিষয় নজর কেড়েছিল। সেটি হলো পূর্ব গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনের লন্ডভন্ড অবস্থা। মূলত ভোররাতের ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। তাতে স্টেডিয়ামের অপর ডিজিটাল বোর্ড দিয়ে খেলা চালিয়ে নিতে হয়েছে। এ দিকে ভেঙে পড়া জায়ান্ট স্ক্রিন যেন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিই হয়ে উঠেছিল। সেটি যেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ঠিক যেন সেভাবেই অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশও বিধ্বস্ত হচ্ছে। তবে গতকাল একটি পার্থক্য তৈরি করতে পেরেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। ওয়ানডেতে ১০০ রান ছাড়াতে পারেননি স্বাগতিকরা, যেখানে টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই সেই আক্ষেপ মিটেছে।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেছেন, ‘খুব দ্রুত আমরা অনেকটাই উন্নতি করেছি। অনেকেই আশা করেনি আমরা এত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াব। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল আমরা মোমেন্টাম পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আর পুরো ব্যাটিং ইউনিট যদি একটু ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে আমাদের কাছে আগের সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।’ ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটারদের দুষেছেন টাইগ্রেস দলপতি। যেখানে তিনি নিজেও ভালো করতে পারেননি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দল হারলেও তিনি ভালো রান করতে পেরেছেন, যদিও সেখানে স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। 

ম্যাচ শেষে জ্যোতি বলেছেন, ‘একজন টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে আমার কাছ থেকে দল অনেক আশা করে। বিগত সময়ে দেখা যাচ্ছিল, আমি একটা ভালো শুরু পেয়েও শেষ করতে পারছিলাম না। অনেক সময় ৪০-৪৫ বা ৩০-এর ঘরে আউট হচ্ছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে ঐ জিনিসটা টপকাতে পেরেছি, একটা মাইলফলকের দিকে যেতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেকটা স্বস্তির বিষয়। কারণ আমি যখন একটা ভালো ফর্মে থাকি, টপ অর্ডার থেকে ভালো রান করতে পারি, সেটা বাকি ব্যাটারদের অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেবে আরো ভালো খেলার জন্য।’

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হাশান তিলকারত্নে বলেছেন, ‘আমার এখনো মনে হয়, আমাদের ১৫ থেকে ২০ রান কম হয়েছে। আমরা ৫০টি ডট বল দিয়েছি। এর বাইরে দল যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে খুশি। বিশেষ করে জ্যোতি যেভাবে ব্যাট করেছে। দেখতেই ভালো লেগেছে যে, সে ফর্মে ফিরে এসেছে। শেষ ৩ ওয়ানডেতে সে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। আরো কয়েক জন খেলোয়াড়ের খেলার ধরন ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে ব্যাটিংটা ভালো ছিল। হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়া খুব ভালো দল। আমাদের মেয়েরাও তাদের কাছ থেকে শিখতে পারছে।’

ওয়ানডের পরে বাজে ব্যাটিংয়ের কিছুটা পরিবর্তন হলেও কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই বিষয়ে হাশান তিলকারত্নে বলেছেন, ‘আমাদের একটু বাজে সময় যাচ্ছে। সেটি কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগে। সেটা একটা বিষয় হতে পারে। তবে এটি ভিন্ন সংস্করণ, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটও অনেক ভালো ছিল। আমাদের বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমি মনে করি, সময়মতো মেয়েরা উন্নতি করবে এবং ঘুরে দাঁড়াবে। সেটি খুব দ্রুতই হবে।’ টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি বেশ হতাশার। তবে তারা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা ইতিবাচক। বিশেষ করে জ্যোতি ও ফাহিমার ব্যাটিং ভালো ছিল। আমি তাতে খুশি। আর উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি।’

3 thoughts on “ঝড়ে লন্ডভন্ড মিরপুরের জায়ান্ট স্ক্রিন

  • April 1, 2024 at 12:06 pm
    Permalink

    Hello there, I discovered your site via Google while searching for
    a related matter, your site got here up, it looks
    good. I have bookmarked it in my google bookmarks.

    Hello there, just was alert to your blog through Google, and found
    that it’s really informative. I’m going to be careful for brussels.
    I’ll appreciate in case you proceed this in future. Numerous other people
    will be benefited from your writing. Cheers!

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *