ঝিকরগাছায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় থানায় অভিযোগ
ঝিকরগাছা :
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করায় ৪জনকে বিবদী করে সন্ধ্যার সময় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ঐ শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। অভিযোগে বিবাদীরা হলেন, শ্রীরামপুর মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ হাসিবুল হাসান শান্ত (২৫), মৃত মুন্তাজ আলীর ছেলে আজিজুর রহমান (৫০), আজিজুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫), মিন্টু হোসেনের স্্রী স্বপ্না বেগম (৩০) সহ আরও ৫/৬জন অজ্ঞাত ব্যক্তি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৮ডিসেম্বর) সকাল ০৮ঘটিকার সময় অত্র মাদ্রাসায় কোচিং ক্লাসে যাওয়ার জন্য বাড়ি হতে বের হয়। পথিমধ্যে আলিউলের মুরগীর ফার্মের নিকট আসলে পূর্বে থেকে পরিকল্পনা করে ১নং বিবাদী, বাদির মেয়েকে অপহরণের উদ্দেশ্যে টানা হেচড়া করে। পরবর্তীতে মেয়ে বাঁধা দিলে ১নং বিবাদী তাকে জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করা সহ নানাবিধ শ্লীলতাহানি করে। উক্ত সময় একই মাদ্রাসার ছাত্র মাসুম কে দেখে বাদির মেয়ে বাঁচার জন্য সাহায্য কামনা করলে মাসুম এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদীর মাজায় থাকা চাকু বের করে বাদির মেয়ের গলায় ধরে। তখন বাদির মেয়ে ঘটনাস্থলে বেহুশ হয়ে পড়ে। সেই সময় ১নং বিবাদী, বাদির মেয়ের চুল ধরে টানতে টানতে পার্শ্ববর্তী মেহগনী বাগানের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং বাদির মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে খামছানো, কামড় ও লাথি মেরে নীলা ফোলা জখম করে। ঘটনার সময় বাদির মেয়েকে বাঁচানোর জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তখন ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা চাকু উঁচু করে শিক্ষার্থীদের বলে, আমি আমার মনের স্বাদ মিটিয়ে ওকে হত্যা করবো। তোরা সামনে থেকে সরে যা। না হলে তোদের কেও মেরে ফেলবো। শিক্ষার্থীরা জীবনের মায়া না করে বাদির মেয়েকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে ১নং বিবাদীকে ধরে মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ২, ৩, ৪নং বিবাদী সহ আরো ৫/৬জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং ১নং বিবাদীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে বাদির মেয়ে ও শ্রীরামপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামবাসী এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা সম্পর্কে বিবাদী আজিজুর রহমান বলেন, ঐ মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়েছিল। বছর খানেক আগে আমাদের দু’পরিবারের সমঝোতায় তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আজ সকালে লোকমুখে ঘটনার কথা শুনে আমার পরিবারের লোকজন সহ মাদ্রাসায় গিয়ে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ রাশিদুল আলম বলেন, আহত অবস্থায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, ঘটানার বিষয়ে আমি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ফোর্স পাঠিয়ে ছিলাম। তবে অভিযুক্তদের সেখানে পাওয়া যায়নি। আমার নিকট একটা লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Dominate the game with strategic moves and lightning reflexes Lucky Cola