ঝিকরগাছায় ডাক্তার ও নার্স বিহীন চলছে ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টার : প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ

Share Now..

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মধ্যে ডাক্তার, নার্স বিহীন ও নামে বেনামে চলছে ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টারের ব্যবসা, ক্রমাগতই প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টারের ব্যবসায় হাতে গোনা ৪-৫টা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স থাকলেও একাধিক প্রতিষ্ঠানে নেই লাইসেন্স। লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান গুলো একটি আজব পদ্ধতি ব্যবহার করেই পরিচালিত হচ্ছে। পদ্ধতিটা হল, প্রতি লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেই পার পেতে দেখা যায়। বছরের পর বছর লাইসেন্স না হলেও প্রতি বছরই শুরু হয় লাইসেন্স নবায়নের আবেদন নিয়ে আজব খেলা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পরিচালিত হচ্ছে, ইচ্ছা অনুরূপ ব্যাঙের ছাতার নেয় বেড়ে উঠছে এইসব ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান। অভিজ্ঞ সার্জন এনেসথেসিয়া ডাক্তার বাদে চলে রোগীর অপারেশন। প্যাথলজিতে মানসম্মত যন্ত্রাংশ ও অভিজ্ঞ প্যাথলজিস্ট বাদে চলে পরিক্ষা-নীরিক্ষা এবং দেওয়া হয় প্রতিবেদন বা রিপোর্ট। যদিও উপর মহল হতে কোন ক্লিনিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃকপক্ষ শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে আবারও দেদারছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। নামে বেনামের এই ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টার ব্যবসার কারণে অকারণে ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ জনতা এবং ক্রমাগতই ফুলেফেঁপে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টারের মালিক বা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও ক্লিনিক ও ডায়গোনেষ্টিক সেন্টারের ব্যবসা পরিচালনার জন্য মালিক বা কতৃপক্ষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামকে উজ্জ্বল করতে গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে দ্বিধা করে না। কিন্তু এসব গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে এই পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা এই বিষয়ে খোজ খবর নিতে গেলেও তাকে হেনেস্তা হওয়ারও অসংখ্য নজির রয়েছে। এই সব ঘটনাকে সামনে রেখে স্থানীয় জনমতের মধ্য নানা রকম প্রশ্ন বিদ্যমান হচ্ছে এবং প্রতারিত হচ্ছে এলাকা ও এলাকার বাহিরের খেটে খাওয়া মানুষ।
ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মুসা জানান, উপজেলার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। আর আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতি দ্রুত লাইসেন্স নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক খোকন জানান, আমাদের এসোসিয়েশনের বিগত মিটিংয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত উপনীত হই চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল ক্লিনিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এখনো যদি কোন কেউ লাইসেন্স না করে তাহলে তার দায়ভার তাকে নিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রশিদুল আলম বলেন, সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশ মোতাবেক আমি সর্বদা সকল ক্লিনিকের উপর নজর রেখেছি। কোনরূপ অভিযোগ পেলেই সিভিল সার্জন স্যার তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত ও বাহিরে আছেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *