ঝিনাইদহের মহেশপুর পরিত্যাক্ত টয়লেট থেকে এক নবজাতক শিশু উদ্ধার,পিতৃ পরিচয় নিয়ে ধোয়াশা।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে পরিত্যাক্ত টয়লেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতক শিশু উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে গত ৪দিন আগে মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের কুশুমপুর গ্রামের খাল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে গত ১৭ই জুন ভোরে এলাকার সাধারন মুরসুল্লিরা মসজিদে ফজরের নামজ পড়তে যাওয়ার সময় নবজাতক শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে মুরসুল্লিরা একত্রিত হয়ে বাচ্ছাটির সন্ধান করতে থাকে। এক পর্যায় কুশুমপুর গ্রামের খাল পাড়ার একটি পরিত্যাক্ত টয়লেট থেকে পলিথিন মোড়ানো বাচ্ছাটির উদ্ধার করে এবং এলাকার সাধারন মানুষ বাচ্ছাটি নিয়ে গ্রামে আসলে তার মায়ের পরিচয় পাওয়া যায়। এদিকে নবজাতক শিশুটির বাবার পরিচয় নিয়ে এলাকায় ধোয়াশা সৃষ্ঠি হয়েছে। নবজাতক শিশুর মা-মনমিলা খাতুন বলেন,তার স্বামী জহির হোসেন গত ২বছর আগে মারা যায়। তার পরিবারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
ভুলবসত পার্শবর্তী জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে সার ব্যবসায়ী মোমিনুল এবং বেনীপুর গ্রামের সিরাজ হোসেনের ছেলে সাগরের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে দুই জনের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে। তবে নবজাতক এই শিশুটির বাবা সাগর বলে দাবী করেন ওই নারী। তিনি আরো বলেন,আমার দায়িত্ব নেওয়ার দরকার নেই শুধুমাত্র শিশুটির দায়িত্ব নিলেই হবে । মহিলা বলেন এবিষয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নেয়নি তারা মামলাটি কোট আদালতে করতে হবে বলে পরামর্শ দেন।
অপরদিকে নবজাতক শিশুটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকে মোমিনুল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এমন কি তার ছেলে একজন সেনা সদস্য হওয়ায় সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে । এবিষয়ে সাগরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি মোমিনুলের জমিতে কাজ করতাম। মোমিনুল আমাকে সাথে নিয়ে ওই মহিলার বাড়িতে যেত । বর্তমান আমি তার জমিতে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছি এ জন্য মোমিনুলের দোষটা আমার উপর চাপাচ্ছে। আমি গরিব মানুষ আর ও বড় লোক সে টাকা দিয়ে সব করতে পারে । আমি তার প্রতিবাদ করায় সে আমাকে মারধর করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে মোমিনুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি কোন অপরাধ করিনি আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে,মোমিনুল একজন চিহ্নিত লম্পট কুশুমপুর ফকির পাড়ায় এক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় এলাকার মানুষ তাকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া একই এলাকার ঠাকুর বাড়ি এক নারীর সাথে ঝামেলায় পড়েন পরে তাকে উদ্ধার করেন তার কাছের এক নারী । এঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর বলেন ঘটনাটি শুনেছি তবে আমার নিকট কেউ আসেনি। অপরদিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াড মেম্বার আরিফ হোসেন বলেন, কুশুমপুরে যে ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় আমার এলাকার মোমিনুল ও সাগরের নাম আসছে। তবে মেয়েটির বাড়ি পার্শবর্তী উপজেলাতে হওয়ায় আমরা কোন খোজ খবর নিতে পারিনি। এঘটনায় দত্তনগর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই অশিষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন কুশুমপুর গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এটা আমরা শুনেছি, অভিযোগ পাইলে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।