ঝিনাইদহে চার বছরের শিশু কন্যা মায়ের সঙ্গে কারাগারে!
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে চার বছরের এক শিশুকে মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির কান্না থামাতে না পেরে বিজ্ঞ বিচারক মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে কারাগারে থাকার আদেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট ভাটপাড়া গ্রামে জেসমিন (২৮) নামে এক গৃহবধু পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু ওই বছরের ৮ সেপ্টম্বর গ্রাম্য বিচার বসিয়ে কথিত ধর্ষক নায়েব আলীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। টাকা না দিলে ধর্ষকের স্ত্রী, ভাবী, বোন ও মেয়েকে লোক দিয়ে পাল্টা ধর্ষণের হুমকি দেন চেয়ারম্যান। সে সময় এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে জেলাব্যাপী টক অব দি টাউনে পরিণত হয়। এদিকে কথিত ধর্ষক নায়েব আলী হতদরিদ্র হওয়ায় শালিস বিচারের দুই লাখ টাকা দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। এ ভাবে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলে চেয়ারম্যানের পীড়াপীড়িতে ওই বছরের ১৫ সেপ্টম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেন গৃহবধু জেসমিন। মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ জেসমিনকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
বিরম্বে করা ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষনের আলামত না পাওয়ায় নায়েব আলীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষন মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। পুলিশের প্রতিবেদন পেয়ে চলতি বচরের ৩ এপ্রিল আদালতে ধর্ষন মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে নায়েব আলী গত ১৭ এপ্রিল ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা ধর্ষন মামলার বাদী জেসমিন আক্তার ও তাঁর স্বামী মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাটিতে ওই দিনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা পেয়ে পুলিশ ১১ জুন জেসমিনের স্বামী মিন্টুকে গ্রেফতার করে। গত সোমবার (২৬ জুন) শিশুটির মা জেসমিন আক্তারও আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় চার বছরের শিশু সন্তান কাঁদতে থাকেন।
এ সময় তার ফুফু কবিতা খাতুন জোর করে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। এক পর্যায়ে ফুফু কবিতা খাতুন শিশুটিকে কোলে নিয়ে আইনজীবীর কক্ষে নিয়ে যান। আদালতের আদেশে মায়ের কোলেই তুলে দেয়া হয় শিশুটিকে। বর্তমানে শিশুটি মায়ের সঙ্গেই কারাগারে আছে। জেসমিন আক্তারের আইনজীবী খন্দকার লিয়াকত জানান, আসামি দম্পত্তির দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে বয়স ছয় বছর। আর ছোট মেয়েটির বয়স ৪ বছর। ছেলেটি তার নানার বাড়িতে আছে। মেয়ে তার মায়ের সঙ্গে এসেছিল। মাকে কারাগারে নেওয়ার সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করছিল। তার ফুফু শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ ছাড়া বাড়িতে এই ছোট্ট শিশুটিকে দেখভাল করার মতো কেউ নেই।
এ ছাড়া শিশুটির বাবাও কারাগারে রয়েছেন। তাই আদালতে মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে কারাগারে রাখার আবেদন করা হলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে কারাগারে রাখার অনুমতি দিয়েছেন। শিশুটির ফুফু কবিতা খাতুন জানান, ভাবির করা মামলাটি খারিজের পর তার ভাই ও ভাবির নামে যে পাল্টা মামলা হয়েছে সেটা তাঁদের জানা ছিল না। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশারত হোসেন বলেন, আসামি জেসমিন আক্তার ও তাঁর স্বামী মিন্টু মিয়া নায়েব আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন মামলা করে তাঁকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। যে কারণে মিথ্যা মামলার বিচার চেয়ে এই মামলা করেছেন। ঝিনাইদহ আদালতের পিপি ইসমাইল হোসেন জানান, কারাগারে মায়ের সঙ্গেই থাকবে শিশুটি। আইনে এভাবে রাখার নিয়ম আছে।
Hey very nice blog!
I was recommended this website by my cousin. I am not sure whether this
post is written by him as no one else know such detailed about my trouble.
You are amazing! Thanks!
Casino & Hotel Maryland iis one particular of the biggest and moswt luxurious commercial casinoos in the country.
Feel free to surf to my web-site: 카지노
You can use emulation, in the same means that
there are utilities to submit to Twitter from Mastodon, however that
may miss the purpose. But that each one changed as soon as the Washington Post published a
story containing a bombshell revelation.