ঝিনাইদহে তথ্য অফিসের প্রচারনায় গ্রামের মানুষ শিখছে ভাইরাস থেকে বাচার উপায়

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ শহরের পাশাপাশি গ্রামে এখন করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে জেলা শহরের চেয়ে গ্রামে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহরের মানুষ কিছু টা সচেতন হলেও অধিকাংশ গ্রামের মানুষ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন নয়। অনেকে আবার কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন এবং ন্যূনতম সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব কী, সে বিষয়েও অবগত নয়। এমন অবস্থায় গ্রামের মানুষকে এতটা অসচেতন দেখে মাঠে নেমেছে জেলা তথ্য অফিস। প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে তথ্য অফিসের গাড়ী ও ইজি বাইক সহ ১০ টি গাড়ি প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে। আর এ কাজ চলছে রাত পর্যন্ত। এসময় করোনা ভাইরাস কি ভাবে ছড়ায়, মাস্ক পরিধানের সুবিধা কি, সামাজিক দুরত্ন মেনে চলার দিক নির্দেশনাসহ সরকারি নানা বিধি-নিষেধ প্রচার করা হচ্ছে। জেলা সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের বৃদ্ধা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন (৫৫) বলেন, শুধু শুনেছি মানুষের করোনা হচ্ছে। কিন্তু কি কারনে কি ভাবে এ অসুখ এক জনের থেকে অন্য জরেন দেহে যায় জানতাম না। এমনকি এর থেকে বাচার উপায় কি এটাও জানা ছিলো না। একটি সাদা গাড়ি এসে আমাদের গ্রামে মাইকিং করে গেছে। এর পর জানতে পেরেছি এ রোগ কি জন্য হয়। আর এর থেকে বাচতে হলে আমাদের কি করতে হবে। তিনি বাড়ির সবাইকে এখন সচেতন থাকতে বলছেন। জেলা তথ্য অফিসার আবুবকর সিদ্দীক জানান, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি। তাই শহরের পাশাপাশি গ্রামকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচার কার্যক্রম চলছে। তথ্য অফিসের গাড়ী ও ইজি বাইক সহ ১০ টি যানে সড়ক প্রচার কাজ চলছে। তিনি আরো জানান, আঞ্চলিক ভাষায় মাইকিং করে গ্রামের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায় ও কীভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা যা। গ্রামের অনেকেই কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন ও সামাজিক দূরত্ব সঙ্গে পরিচিত নয় আর এ জন্যই তাদের মধ্যে সচেতনতারও ঘাটতি ছিল। এজন্য আমাদের এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *