ঝিনাইদহে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
ঝিনাইদহ অফিসঃ
ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ করায় ইয়াছিন হোসেন জনি ওরফে হৃদয় রেজওয়ান ইসলাম জনি নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে অনাদায়ে আরো ৫ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় প্রদাণ করেন। জনি ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও রায় থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রায় উত্যক্ত করত জনি। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ২০১৩ সালের ২১ মার্চ কোচিংয়ে যাওয়ার পথে জনি তার সহযোগীদের নিয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রায় ১ সপ্তাহ পর মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। ৩ মাস পর পুলিশ জনিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ৭/৯(১) এর ধারায় দোষী সার্বস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে ও এক লক্ষ টাকা অর্থে দন্ডে দন্ডিত করে। অনাদায়ে আরো ৫ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান। আসামীকে একই আইনের ৭ ধারায় দোষী সার্বস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদান্ডে দন্ডিত করে ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করে অনাদায়ে আরো চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে। উভয় অপরাধের সাজা একত্রে কার্যকর হবে বলে বিচারক আরো জানান।