ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ৪০টি যাত্রীছাউনি জরাজীর্ণ বেহাল দশা

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এক সময় পথচারী, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের বিশ্রামের জন্য যাত্রী ছাউনি নির্মান করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে নির্মিত এসব যাত্রী ছাউনির বেশির ভাগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অনেক যাত্রী ছাউনি আবার দখল করে কেউ কেউ দোকান সাজিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। এমন একটি জরাজীর্ন যাত্রী ছাউনি সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বোড়াই নামক ¯’ানে ঝুকিপুর্ন ভাবে দাড়িয়ে আছে। যাত্রী ছাউনির ভিতরে বাইরে স্যাঁত স্যাঁতে ভেজা ও গোটা ভবনে গাছপালা জন্মেছে। যে কোন সময় গোটা ভবনটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের দেয়া তথ্যমতে, যাত্রীসহ মানুষের বিশ্রামের জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে মহাসড়ক ও বাজারসহ বিভিন্ন ¯’ানে ৪০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি যাত্রী ছাউনির নির্মাণ ব্যয় ছিল গড়ে ৩০ হাজার থেকে দেড়লাখ টাকা। ঝিনাইদহ সদরের চুটলিয়া মোড়ের যাত্রী ছাউনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর অযত্নে পড়ে আছে। যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে পড়েছে। মধুপুর চৌরাস্তা বাজারের যাত্রী ছাউনিটি দখল করে মোটরসাইকেল রাখার জায়গা বানিয়েছেন এক ব্যক্তি। এ ভাবে হাটগোপালপুর, কালা বাজার, ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রী ছাউনিগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ¯’ানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও তা দেখভাল করা হয় না। ফলে এখানে বসা যায় না। যে যার মতো দখলে করে নিয়েছে। চুটলিয়া এলাকার আবুল কাে জানান, এখানকার যাত্রী ছাউনিটি এক যুগ ভেঙ্গে পড়ে আছে। যাত্রীরা গাড়ির জন্য আশপাশের দোকানগুলোতে বসে অপেক্ষা করেন। বৃষ্টির সময় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। মধুপুর চৌরাস্তা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর, বাজারের যাত্রী ছাউনিটি যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে পড়তে পারে। কয়েকদিন আগে এখানে মোটরসাইকেল রাখার পর ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মোটরসাইকেলের ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশীদ বলেন, জরিপ করে ক্ষতিগ্র¯’ যাত্রী ছাউনি মেরামত ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *