ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এমপি তাহজীবের নানা উদ্যোগ

Share Now..

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৫০টি করোনা শয্যা থেকে বাড়িয়ে ১৫০টি শয্যা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য ১৫টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, বড় সাইজের ৯০টি এবং ছোট সাইজের ১৭৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২টি ডি-ডাইমার মেশিন, যা করোনা রোগীদের জন্য কিডনির রক্ত সঞ্চালন পরীক্ষা করে এবং পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন, যা করোনা ওয়ার্ডে রাখা আছে। বেড থেকেই রোগীর এক্স-রে করা যাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির তত্ত্বাবধানে হয়েছে সবকিছু।

স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতির প্রতিনিধি হিসেবে সদর হাসপাতালে সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কুমার বিশ্বাস। করোনা সংক্রামক প্রতিরোধে স্বাস্থ্য কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে রোগীরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছেন।

করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। জেলার মানুষ করোনাভাইরাস সম্পর্কে অসচেতন ও জেলাটি ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় বৈধ-অবৈধভাবে প্রতিদিন লোক সমাগম ঘটছে। তাদের শরীরের করোনা ধরা পড়ছে। এসবের জন্য ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির তৎপরতায় বর্তমানে করোনা রোগীর মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে। সেই সাথে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত থাকায় রোগীরা পাচ্ছেন স্বস্তি।

এদিকে করোনা সংক্রমণের বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ কভিড হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই আছে। লিকুইড অক্সিজেনও রয়েছে। আমরা আইসিইউ ও ল্যাবের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী জানান, অবস্থা অবনতির আগেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। এখানে গড়ে প্রতিদিন তিনজন করে মারা যাচ্ছে।

তিনি জানান, আমরা নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই এটি করছি। প্রতিদিন হাসপাতালে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ আসছে। যেটি সম্মিলিতভাবেই মোকাবিলা করা হচ্ছে। সবাইকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারছি না। তবে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারাও যাচ্ছে না।

করোনায় মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সভাপতি তাহজীব আলম সিদ্দিকী এমপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *