টালমাটাল ইকুয়েডর, নিহত ১০ 

Share Now..

সিরিজ সন্ত্রাসী হামলায় ইকুয়েডরজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসী হামলায় ইতিমধ্যে দেশটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিকে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ‘অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর আল জাজিরার। 

সম্প্রতি ইকুয়েডরের এক মাদক মাফিয়া জেল থেকে পালিয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবারই সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া (৩৬) দেশব্যাপী ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ঘোষণার পর দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ঘটনা ঘটছে।

আল জাজিরা বলছে, দেশটির সবচেয়ে বড় মাদক মাফিয়া জোস অ্যাডলফো মাসিয়াস সম্প্রতি জেল ছেড়ে পালিয়ে যায়। মাসিয়াস দেশটির বন্দরনগরী গুয়াকিলের এক আঞ্চলিক জেলে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। 

দেশটির পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বলেছে, গুয়াকিলে হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয় এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নোবল শহরের কাছে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও হত্যা করেছে। 

সন্ত্রাসীরা অন্তত সাতজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও অপহরণ করেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিন জন পুলিশ কর্মকর্তা মেঝেতে বসে আছেন এবং তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখা হয়েছে। এদের একজনকে জোরপূর্বক একটি বিবৃতি পড়ানো হচ্ছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ ঘোষণা করলে যুদ্ধই ফেরত পেতে হয়।’ শুধু তাই নয়, বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে তার ফল ভোগ করতে হবে পুলিশ ও বেসামরিকদের।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আটটি প্রদেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে গাড়িতে বোমা হামলার মতো ঘটনাও আছে। পুলিশের অনেক গাড়িও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *