টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করাটা মাইলফলক হবে: আসিফ মাহমুদ 

Share Now..

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে আগামী ৩ অক্টোবর মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে নবম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই অনুসারেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিসিবি। তবে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। গেল জুন মাস থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে শুরু হয় অস্থিরতা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গেল পাঁচ আগস্ট তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে যায়। পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে আইসিসি। তাতে করে শঙ্কা দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ গড়ানো নিয়ে। 

তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফের ইঙ্গিত দিলেন বিশ্বকাপ আয়োজনের। জানিয়েছেন টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পারলে দেশের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। যদিও শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি দেশে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকার কারণে দেশে আয়োজন করার বিষয়টি থেকে সরে আসার কথা। তবে যেখানেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হোক না কেন আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ চাচ্ছে নিজেদের নামটি রাখতে, এগুচ্ছেও সেই পথে। অর্থাৎ পরিকল্পনা হাইব্রিড মডেলে বিশ্বকাপ আয়োজন করার। বাংলাদেশে চলা অস্থিরতার কারণে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে বিকল্প আয়োজক ভেবে রেখেছে আইসিসি। তবুও বিসিবিকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আইসিসি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ আজকের মধ্যেই ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে বিসিবির পক্ষ থেকে জানাতে হবে বাংলাদেশের আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলমান পরিস্থিতিতে আয়োজন করা সম্ভব কিনা। এ নিয়ে চলছে আলোচনা। 

এ নিয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে ক্রীড়া উপদেষ্টা বললেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে। ভিন্ন এক প্রশ্নে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে আসিফ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যাপারটা হচ্ছে, এটা আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। যেহেতু বাংলাদেশে একটা খারাপ সময়, সংকটকাল চলছে। আবার একই সঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। তো এসব কিছু বিবেচনায় এটা তো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নেই, এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। দ্রুতই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব বলে আশা করছি।’এদিকে এই আলোচনায় ক্রীড়া উপদেষ্টা নতুন এক ঘোষণা দিয়েছেন। জানান ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ স্লোগানে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্পোর্টস ইনস্টিটিউট করার কথা। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা, যা এ দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রথম। শুধু তা-ই নয়, খেলোয়াড়, কোচ কিংবা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কাছে তা হবে বিশেষায়িত এক স্থান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ্য এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক মাধ্যম। দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, ভালো ফল পাওয়াই এর লক্ষ্য।’ মূলত উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *