টেলিভিশনে লাইভ বক্তব্য দেয়ার সময় ভারতের সাবেক বিধায়ককে হ*ত্যা
টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে থাকার সময় ভারতের সাবেক একজন রাজ্যসভার সদস্য ও তার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের একটি মামলায় তিনি আগে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। হত্যা ও হামলার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) আতিক আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। সাবেক ওই বিধায়ককে শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজের কাছে দাঁড়িয়ে যখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন খুব কাছ থেকে পিস্তল বের করে তার মাথায় গুলি করা হয়।সেই সময় পাশে দাঁড়ানো তার ভাই আশরাফকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। যারা গুলি করেছিলেন, তারা সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গুলি করার পরপরই তিনজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।ভিডিওতে দেখা যায়, আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ পুলিশি হেফাজতে থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় তাদের শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময় তাদের দুজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
কিছুদিন আগে থেকেই আতিক আহমেদ দাবি করে আসছিলেন, পুলিশের কারণে তার জীবন হুমকিতে রয়েছে। কয়েকদিন আগে আতিক আহমেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আসাদও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। একটি হত্যা মামলায় আসাদ ও আরেকজন ব্যক্তি পলাতক ছিলেন।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়, যাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে পুলিশ বর্ণনা করেছে। লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ছেলের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন কিনা?
ক্যামেরার সামনে তার সর্বশেষ বক্তব্য ছিল, ‘তারা আমাদের নিয়ে নিয়ে যায়নি, সুতরাং আমরা যেতে পারিনি।’ ঠিক সেই সময় সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপর পাশে দাঁড়ানো তার ভাইকেও হত্যা করা হয়।
গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের সাবেক বিধায়ক (রাজ্যসভার সদস্য) আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে হত্যা এবং হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অপহরণের একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
পুলিশের তরফ থেকেই তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে, এরকম একটি শুনানির আবেদন গত মাসেই নাকচ করে দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় রয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি।
বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে বলছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গত ছয় বছরে উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ১৮০ জনের বেশি ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিরোধীরা বলছে, পুরো প্রদেশজুড়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করে যাচ্ছে, যদিও উত্তর প্রদেশের সরকার সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
Your adventure is just a click away—join now! Lucky Cola