টেস্ট বোলিংয়েই টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারসেরা তাসকিনের

Share Now..


টি-টোয়েন্টিতে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছিলো না বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের পর ত্রিদেশীয় সিরিজে একের পর এক হারতে জর্জরিত ছিলো টিম টাইগার্স। নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতেই একটি জয় প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। অবশেষে সেই জয় পেলো বাংলাদেশ, শুধু পেলোই না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের ১৫ বছর পেরিয়ে মূল পর্বে প্রথম জয় পেলো বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের। ইনিংসের শুরুর দুই বলেই দুই উইকেট নিয়ে ডাচদের মাথা তুলে দাড়ানোর সাহসটাই শেষ করে দিয়েছেন তাসকিন। মাঝখানে বাংলাদেশের জয়ের পথে কাটা হয়ে থাকা কলিন অ্যাকারম্যানকেও ফিরিয়েছেন নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে।

টি-টোয়েন্টিতে এমন দুর্দান্ত বোলিং সাফল্যের পেছনে অবশ্য রয়েছে অন্য এক ফর্মুলা। ক্রিকেটের সবচেয়ে বনেদি ফরম্যাট টেস্টের লাল বলের ফর্মুলা কাজে লাগিয়েই টি-টোয়েন্টিতেও সফল হয়েছেন তাসকিন। ম্যাচশেষের প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেসখ্যাত এই পেসার।

একসময় গেলো গেলো রব ওঠা তাসকিন যেন নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। ক্রমেই যেন অদম্য হয়ে উঠছেন এই স্পিডস্টার। ১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন তাসকিন। করেছেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

১৪৫ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের কাছে যে ধাক্কাটা খেয়েছিলো নেদারল্যান্ড তা আর সামলেই উঠতে পারেনি তারা। গরি আর সুইংয়ের মিশেলে ম্যাক্স ও’ডাউড আর বাস ডি লিডকে পরাস্ত করে উড়ন্ত সূচন করেছে টাইগারদের বোলিংয়ে।

বাংলাদেশের জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো ডাচদের হয়ে চার নম্বরে নামা কলিন অ্যাকারম্যান। তাকেও সরিয়েছেন নিজের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে। মাঝে ওই ওভারেরই দ্বিতীয় বলে শারিজ আহমেদকেও ফিরিয়েছিলেন তাসকিন। নিজের ৪ ওভার বোলিং শেষে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন ঢাকা এক্সপ্রেস।

টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে দলকে জেতানোর স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। সেই পুরস্কার নিতে গিয়ে হাস্যজ্বল তাসকিন বলেন, ‘দলের জন্য এটা ভালো একটা জয়, এমন একটা জয় আমাদের দরকার ছিল। দল হিসেবে আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি এবং আজকের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি নিজেও খুব খুশি।’

এদিকে, টেস্ট ম্যাচের ফর্মুলা দিয়েই টি-টোয়েন্টিতেও সফল হয়েছেন জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘নিজের বেসিক জিনিসগুলো নিয়ে লেগে থাকার এবং কাজ করার চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংসে লক্ষ্য রেখেছিলাম বল কীভাবে মুভ করছে, সেই অনুযায়ীয়ই আমি টেস্ট ম্যাচের লেন্থে বল করার চেষ্টা করেছি।’
বিশ্বকাপের মঞ্চে দলকে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য আগের থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন জানিয়ে, ‘আমি শুধু নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি দুই দিকেই বল মুভ করাতে পারি, সেটাতেই মূল মনোযোগ ছিল আমার। বিশ্বকাপে যেন দলের জন ইয় এটা করতে পারতেই এবং নিজের সেরাটা দিতে পারি, সেটা নিয়েই আমি কাজ করেছি।’

One thought on “টেস্ট বোলিংয়েই টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারসেরা তাসকিনের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *