ডাচদের আজ ইংলিশ পরীক্ষা, পাশ করলেই ফাইনাল

Share Now..

কথায় আছে, ‘শেষ  ভালো যার, সব ভালো তার।’ এবারের আসরের শুরুটা ভালো হয়নি ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসের। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ ‘ডি’ থেকে তিন নম্বর দল হিসেবে জায়গা করে নেয় দ্বিতীয় পর্বে। তবে সময়ের সঙ্গে নিজেদের আরো পরিণত করে তুলেছে ডাচরা।

শেষ ষোলোতে রোমানিয়াকে ৩-০ গোলে হারানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ককে হারিয়ে ২০ বছর পর আবারও সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেদারল্যান্ডস। সেবার পর্তুগালের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় তারা। সেই সঙ্গে  ১৯৮৮ সালের পর আবারও ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব লড়াইয়ের এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে হলে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের দিতে হবে ইংলিশ পরীক্ষা।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ডটমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্ক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা চলছে ইউরোপ জুড়ে। কোন দল খেলবে স্বপ্নের ফাইনাল তা নিয়ে চলছে নানান বিতর্ক। অন্যদিকে গেল আসরের রানার্সআপ দল ইংল্যান্ড। ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে ইংলিশদের ছোঁয়া হয়নি সেই কাঙ্ক্ষিত ট্রফি। তাই তো নিজেদের আরো পরিণত করে জার্মানিতে পা রাখে হ্যারি কেইনের দল। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে। তাই তো গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের লক্ষ্য থাকবে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ফাইনালে খেলার টিকিট নিশ্চিত করা এবং শিরোপা জয়ের দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

সেই সঙ্গে এই দুই দলের অতীতের পরিসংখ্যান হিসাবে লড়াই হয়েছে সমানে সমান। এর আগে এখন পর্যন্ত মোট ২২ বার মুখোমুখি হয়েছে। সেই সব দেখে খুব একটি পিছিয়ে নেই কেউ। ইংলিশদের ছয় জয়ের বিপরীতে ডাচদের জয় সাতটি ম্যাচে। বাকি ৯টি ম্যাচ ড্র হয়। এছাড়াও দুই দলের সবশেষ চার খেলায় নেদারল্যান্ডসের তিন জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ডের জয় একটি ম্যাচ। তাই বলা যায়, এই ম্যাচে ফেবারিট থাকবে দুই দলই। তবে ইউরোর এবারের আসরটি বিবেচনায় নিলে সেখানেও খুব একটি পিছিয়ে নেই কোনো দল।

ট্রাম্প কার্ড

জুড বেলিংহ্যাম, ইংল্যান্ড

বর্তমান সময়ের অন্যতম মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের  জুড বেলিংহ্যাম। ইউরোর এবারের আসরেও দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন ২১ বছর বসয়ি এই ফুটবলার। সেই সঙ্গে গোল করেছেন দুটি। শেষ ষোলোর ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দল যখন ১-০ গোলে পিছিয়ে ইংলিশরা। যখন ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। সেই সঙ্গে পুরো টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডের অন্যতম কান্ডারি হিসেবে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। এছাড়াও ২০২৪ ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও ভালোভাবে আছেন তিনি।

কোডি গাকপো, নেদারল্যান্ডস

এবারের আসরে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে মোট ১০ বার বল জড়িয়েছেন ডাচ ফুটবলাররা। যার মধ্যে তিনটি গোল আসে ২৫ বছর বয়সি এই ফরোয়ার্ডের পা থেকে। সেই সঙ্গে এখন পর্যন্ত এবারের আসরের নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও লিভারপুলের এই তারকা। শুধু গোল নয়, পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন কোডি। যার কারণে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের বাড়তি নজর থাকে এই ফুটবলারের ওপর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *