ডিপিএলের রাউন্ড রবীন লিগ শেষে রেকর্ডের দুয়ারে নাঈম-বিজয়

Share Now..

দু’জনই জাতীয় দলের বাইরে অনেক বছর। নির্বাচকদের বিবেচনায় তাদের অবস্হান খুব আশাব্যঞ্জক তাও বলা যাবে না। নাঈম ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন আট বছর আগে। এনামুল হক বিজয় সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৯ সালে।

তবে দু’জনই চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে রান জোয়ারে নির্বাচকদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছেন, এটুকু বলাই যায়। ঈর্ষণীয় ফর্মে আছেন নাঈম-বিজয়। রাউন্ড রবীন লিগে ১০ ম্যাচ খেলে ৭৪৯ রান নিয়ে ব্যাটারদের শীর্ষে নাঈম। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ২টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ব্যাটিং গড় ৮৩.২২, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৬৭।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে বিজয়ও ছুটছেন দুরন্ত গতিতে। শেষ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও বিজয় ৭২৮ রান করে দ্বিতীয় স্হানে আছেন। ২৯ বছর বয়সী এই ওপেনারের ব্যাটিং গড় ৭২.৮০, স্ট্রাইক রেট ৯৭.৯৮। নাঈমের মতোই সমানসংখ্যক সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। তবে বিজয় ৬২ চারের সঙ্গে ৩২ ছক্কা মেরেছেন। নাঈম ৫৮ চার ও ১২ ছক্কা মেরেছেন। তাই স্ট্রাইক রেটে এগিয়ে বিজয়।

দু’জনই নিজ নিজ ক্লাবকে সুপার লিগে তুলেছেন। নাঈম-বিজয়ের সামনে এখন রেকর্ড গড়ার হাতছানি। প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর এক আসরে সর্বোচ্চ ৮১৪ রান করেছেন সাইফ হাসান, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৬ ম্যাচ খেলে। সুপার লিগের ৫ ম্যাচ খেললে অনুমিতভাবেই বিজয়-নাঈম ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা সাইফ হাসানকে। তবে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এক আসরে ১ হাজার রানের রেকর্ডও রয়েছে। লিস্ট-এ মর্যাদা না থাকায় যেটি স্বীকৃত রেকর্ড বুকে নেই। ১৯৮৭ সালে আবাহনীর অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও ২০০১ সালে মোহামেডানের হয়ে কেনিয়ার কিংবদন্তী স্টিভ টিকোলো ১ হাজারের বেশি রান করেছিলেন।

নাঈম-বিজয়ের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে ১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলাও সম্ভব। রেকর্ডের খুঁটিনাটি তাদের মনে থাকবে কি না বলা কঠিন, তবে দু’জনই নিশ্চিতভাবে আগামীকাল শুরু হতে চলা সুপার লিগে ব্যাট হাতে এই রানের ফল্গুধারা থামাতে চাইবেন না।

রাউন্ড রবীন লিগ শেষে বোলারদের শীর্ষে পারভেজ রসুল। শেখ জামালের হয়ে খেলা ভারতীয় এই স্পিনার ২০ উইকেট নিয়েছেন। তার দল শেখ জামালও আছে লিগের শীর্ষে। প্রাইম ব্যাংকের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান ১৯, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চিরাগ জানি ১৮টি, মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু, খেলাঘরের মাসুম খান টুটুল ও গাজী ক্রিকেটার্সের কাজী অনিক ১৭টি করে উইকেট নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *