তরুণদের নিয়ে চিন্তিত মাশরাফি
বর্তমানে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা সেটা হলো সাকিব-তামিম ইস্যু। গেল দুই-তিন বছর ধরে দেশের ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে দূরত্ব নিয়ে। তবে গেল বছর ভারত বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সভাপতি এবং সদ্য হওয়া যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আনেন। যদিও এই বিষয়ে সাকিব-তামিম কেউই সরাসরি কিছু জানাননি।
গেল বছর ভারত বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বশেষে তাকে ছাড়াই ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে উড়াল দেয় বাংলাদেশ দল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আবারও ২২ গজে ফিরতে রাজি হন তামিম ইকবাল। তবে বিশ্বকাপের জন্য ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই দুই টাইগার সিনিয়র ক্রিকেটের এমন কাণ্ডের কারণে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নিজের এমন দুশ্চিন্তার কথা জানান বাংলাদেশের সবচেয়ে এই সফল অধিনায়ক মাশরাফি। সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের কাছে সাকিব-তামিমের অনেক আগে দেশ।’ তামিম ইকবালের বিশ্বকাপ না খেলার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমি দুই জনের কারো কাছে এটা আসা করি নাই। এটা কে শুরু করল কে শেষ করল সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। দেশের দিকে তাকিয়ে দুই জনেরই উচিত ছিল, একই সঙ্গে দেশের হয়ে খেলা।’
সেই সঙ্গে এই বিষয়ে মাশরাফি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় এই বিষয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। আমাদের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, আমাদের দেশের সেরা দুই ক্রিকেটার দুই মেরুতে অবস্থান করছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনো উপকার হয়নি। বরং এটাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি হয়েছে। এটা বলে শেষ করা যাবে না।’
বিশ্বকাপের আগে দলের সবচেয়ে সেরা দুই ক্রিকেটার এমন বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ড থেকে কি কিছু করা যেত না। এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘কিছু না কিছু তো করাই যেন। কিছু না কিছু তো করার ছিল।’ সেই সঙ্গে এই দুই ক্রিকেটের এমন কাণ্ডে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে চিন্তিত সাবেক এই অধিনায়ক। মাশরাফি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন আপনারা যা করে যাচ্ছেন, এসব দেখে কী শিখছে জুনিয়ররা।’