তাপদাহে ‘সান অ্যালার্জি’ এড়াতে

Share Now..

ব্যস্ত এখন সবাই। বাড়িতে বসে থাকার উপায় কারোই নেই। অথচ এদিকে ভয়াবহ গরমে কাবু অনেকেই। বাইরে তো বেরোতেই হবে। অফিসে সারাদিন বসে কাজ করলে নাহয় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেকের নেই। কিন্তু যারা বাইরে ছুটে বেড়ান? তাদের ‘হিট স্ট্রোক’ নিয়ে ভাবনা তো আছেই আর সেটা না হলেও ‘সান অ্যালার্জি’ এর বিষয়টাও ভাবতে হয়। রোদে ঘুরে এক সময় শরীরে লাল লাল কিছু র‍্যাশ দেখা যায়। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি প্রতিবেদনে এটিকে ফটোসেনসিটিভিটি। 

ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, গরম ছাড়াও এই সমস্যা হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে যাদের এ সমস্যা হয় তখন তাকে পলিমরফাস লাইট ইরাপশন সিম্পটম্প বলা হয়। অনেকের ত্বকের ভিত্তিতে এমন সমস্যা হয়েই থাকে। কিন্তু তীব্র গরমেও অনেকের এই সমস্যা হয়। যখন শরীর প্রচুর ঘাম ত্যাগ করে তখন ত্বকে এমন র‍্যাশ দেখা দেয়। এই সমস্যা এড়াবেন যেভাবে: 

প্রয়োজন না হলে তীব্র রোদে বের হবেন না
রোদে প্রয়োজন না হলে বের হবেন না। আর আপনি যদি বাইরে বের হোন তাহলে অবশ্যই ছাতা রাখবেন। যাদের বাইরে কাজ করা হয় তাদের এটা ভেবে ছাতাটা রাখতেই হবে। ছাতা থাকলে সরাসরি রৌদ্রখর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন। আর সন্ধ্যার পর বেরোলে অ্যালার্জির ঝুঁকি কম। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সন্ধ্যের পর বেরোন।

লম্বা হাতার সুতির পোশাক
আটসাট পোশাক একেবারেই পরবেন না। ঢিলেঢালা সুতির লম্বা হাতার পোশাক পরুন। হাতেই সচরাচর এই র‍্যাশ বেশি দেখা যায়। নারীরা ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। মুখে ও হাতে সানস্ক্রিন মেখে নেবেন অবশ্যই। রোদে তাহলে কম পুড়বেন। আর ছাতা নিতে মন না চাইলে হ্যাট বা ক্যাপ পরে নিন।

ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট চাই
সান অ্যালার্জির একটি বড় কারণ ভিটামিন ডি-এর অভাব। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই অবশ্যই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাবেন। গরমে অত্যধিক মাছ, মাংস, তেল-মশলাদার খাবার খাবেন না। এতে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে রোদে বেরোনোর আগে হালকা খাবার খান। মাশরুম বা সিজনাল ফ্রুট খান। ইলেক্ট্রোলাইটের জোগান দেয় এমন ফল-সবজি খান।

পানি খাবেন বেশি
শরীরে একেবারে ঘাম বেশি হওয়া সমস্যার। আবার ঘাম না হওয়াও সমস্যা। ঘাম না হওয়া মানে পানিশূণ্যতা। তাই পানি পান করুন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন। বাইরে বেরুলে পানির বোতল রাখবেন। মাঝেমধ্যে গলা ভিজিয়ে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *