তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহার এই আদেশ দেন।
একই মামলার আসামি হিসেবে ফরহাদ হোসেনের ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল, ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর।
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মারুফ আহম্মেদ বিজন এবং মোখলেছুর রহমান স্বপন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড না দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, মিয়াজান আলী, আব্দুস সালাম এবং ইয়ারুল ইসলাম।
রিমান্ড শুনানির সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গত ৫ আগস্ট মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন রাশেদুল ইসলাম। মামলার প্রধান আসামি হিসেবে ফরহাদ হোসেনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুরে আনা হয়।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে র্যাবের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ মেহেরপুরে একাধিক হত্যা ও অন্যান্য মামলা রয়েছে।