দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে ইসরায়েলি হামলা

Share Now..

দক্ষিণ গাজার মূল শহর খান ইউনুসে সোমবার বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেয়া না হলে কোন ইসরায়েলী জিম্মিকে জীবিত ছেড়ে দেয়া হবে না বলে হামাসের হুঁশিয়ারির পর ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলী সৈন্যরা যে বাড়িতে হামাসের সুড়ঙ্গ খুঁজেছিল সেই বাড়িটিই পরে তারা বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ গ্রুপ

ইসরায়েলী সেনা বাহিনী বলেছে, সোমবার গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া রোববার গাজা শহর ও খান ইউনুসের আশেপাশে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছে। 

এদিকে হামাস রোববার হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছে, বন্দী বিনিময় ও আলোচনা এবং প্রতিরোধের দাবি না মেটানো পর্যন্ত ইসরায়েল কোন জিম্মিকেই জীবিত ফেরত পাবে না। 

ইসরায়েল বলেছে, হাসাসের কারাগারে এখনো ১৩৭ জিম্মি বন্দী রয়েছে। অপর দিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলেছে, প্রায় সাত হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলী কারাগারে বন্দী। 

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর হামাস ও ইসরায়েল একটি চুক্তির আওতায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এতে মধ্যস্থতা করে মিসর ও কাতার। নভেম্বর ২৪ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং তা আরো বাড়ানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় আটক একজন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে তিন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেয়া হয়।

যুদ্ধবিরতির চুক্তি হামাস লংঘন করেছে অভিযোগে ইসরায়েল ১ ডিসেম্বর ডিসেম্বর থেকে আবারো হামলা শুরু করে। এ জন্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এতে ১২শ’ ইসরায়েলী প্রাণ হারায়। এছাড়া হামাস প্রায় দুশো ইসরায়েলীকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এর পর পরই ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে বোমা বর্ষণ ও পরে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৫০ হাজার আহত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *