দমে যাবেন না রোনালদো, চালিয়ে যাবেন ‘উঁচু মানের’ খেলা
বয়সটা ৪০ ছুঁই ছুঁই। তবে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে যখন প্রতিপক্ষের ডি বক্সে হানা দেন তিনি। তখন তাকে দেখে বোঝার অবকাশ নেই তার ক্যারিয়ারের সূর্য গোধূলীলগ্নে নাকি মধ্য গগনে। বলছি পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কথা। ক্যারিয়ারের দুই দশকের বেশি সময় ধরে মাঠ মাতিয়ে নিজের নামে লেখে নিয়েছেন অসংখ্য রেকর্ড।
বর্তমানে তিনি রয়েছেন তার ক্যারিয়ারের গোধূলীবেলায়। এখনো খেলার মাঠে তার সেই তরুণ মনোভাব রেখেছেন যা তিনি চালিয়ে যেতে চান। সম্প্রতি হুপ পডকাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানইউ তারকা ফুটবলার।
এর আগে ২০০২ সালে সিনিয়র ফুটবলে নাম লিখান এই তারকা ফুটবলার। এরপর ২০০৩ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলের অভিষেক হয় তার। বছর হিসেবে যা দুই দশকেরও বেশি। যেখানে ৩৫-৩৬ বছর হলে অবসরে চলে যান বেশির ভাগ ফুটবলাররা। তবে ব্যতিক্রম রোনালদো। এই বয়সে এসেও ফুটবল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই বয়সে এসেও আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফুটবল খেলছি, যা নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। এটি দুর্দান্ত, এই বিষয়টি আমাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।’
সেইসঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বলেন, ‘আপনি যদি আমার গত ২০ বছরের ক্যারিয়ারের দিকে তাকান। তাহলে আপনি দেখবেন আমার অবস্থান কোথায়। আপনি যখন ২০ বছর ধরে শীর্ষে থাকেন, সেটা অবশ্যই অবিশ্বাস্য। আমার জন্য এটি অনেক বড় অর্জন। এই (শীর্ষ) পর্যায়ে থাকাটা সহজ নয়। নিজেকে তাড়না দিতে, অনুপ্রাণিত করতে, চালিয়ে যেতে, গোল করতে, ভালো ছন্দে থাকতে, উঠে আসা তরুণ সিংহদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুধু শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও খুব ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই চ্যালেঞ্জ।’
শুধু কথায় নয় কাজেও করিয়ে দেখিয়েছেন এই পর্তুগিজ ফুটবলার। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ৮৯১ গোল এবং ১২৮টি গোলে অবদান আছে এই আল নাসর তারকার। এই বয়সে ফুটবল চালিয়ে যেতে হলে শরীরের শক্তির চেয়ে মানসিক শক্তির বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন এই ফুটবলার। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বয়সে এসে, এভাবে খেলা মোটেও সহজ নয়, ধাক্কা দিয়ে বল নেওয়া, বল নিয়ে দৌড়ানো, গোল করা, তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। তারা যখন আমার বিপক্ষে খেলে, তখন তারা আমাকে দেখাতে চায়, তারা আমার চেয়েও শক্তিশালী। এই বয়সে খেলার জন্য আপনাকে শুধু শারীরিকভাবে না মানসিকভাবেও প্রস্তুত হতে হবে।’