দর্শনা কেরুর ডিস্টিলারি থেকে উধাও হওয়া স্প্রিরিটের সন্ধানে মাঠে নেমেছে ৩ টি তদন্ত কমিটি
\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা কেরুর ডিস্টিলারি থেকে উধাও হয়ে যাওয়া ৩০ লক্ষ টাকার ১৩ হাজার লিটার ডি এস (ডিনেচার স্প্রিটের) এর সন্ধান করতে ১ লা জুলাই সোমবার থেকে পৃথক ৩ টি তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেছে। চিনিকল কতৃপক্ষ জানান বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের তদন্ত কমিটির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা জগলুল হক রানা, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের যশোর অফিস প্রধান জনাব আসলাম হোসেন ও কেরু চিনিকলের তদন্ত কমিটির প্রধান চিনিকলের মহা ব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) জনাব মোঃ ইউসুপ আলি একযোগে সোমবার (১ জুলাই) সকালে ডিস্টিলারির বিভিন্ন ভ্যাটে ঢুকে কর্মচারি ও দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে পৃথক পৃথক ভাবে জিঞ্জাসাবাদের কাজ করছেন। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলেননি। তারা বলেন তদন্তের কাজ শেষ না করে কোন কিছু বলা যাবে না। উল্লেখ গত দুমাস আগে ডিস্টিলারির বন্ডেড ওয়ার হাউজের সহকারি এজেন্ট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ডি এস (ডিনেচার স্প্রিট) এর ভ্যাট সহ দুটি ভ্যাটের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হয়। জাহাঙ্গীর হোসেন ডিস্টিলারি ডি এস (ডিনেচার স্পিট) ভ্যাটে স্পিটের হিসাব গড়মিল দেখে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত আবেদনে জানান ভ্যাট গুলোতে প্রায় ১৩ হাজার লিটার স্প্রিট কম রয়েছে। এবং দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে কেরুজ কর্তৃপক্ষ অপর সহকারি এজেন্ট জনাব সাজেদুর রহমান তুফানকে সমুদ্বয় মালামাল বুঝিয়ে দিয়ে দায়িত্ব প্রদান করেন। তারপর ২ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত সাজেদুর রহমান তুফান দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এসময় আবারও মালামাল সটেজ দেখা যায় বলে হইচই পড়ে যায়। সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া দেশের বৃহত্তর এই চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিভিন্ন সময় এই ধরনের অঘটন ঘটেই চলেছে। এ বিষয়টি নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে পৃথক পৃথক ৩ টি কমিটি গঠন করে তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান তদন্ত শুরু হয়েছে এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।