দামুড়হুদার তিনটি রেলক্রসিংয়ে নেই কোন গেটম্যান: ঘটছে দুর্ঘটনা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা রেল লাইনের মাঝাঁমাঝিঁ জয়রামপুর গ্রামে রয়েছে প্রায় তিন কিলোমিটার রেল লাইন। এই তিন কিলোমিটার রেল লাইন মধ্যে রয়েছে তিনটি রেল ক্রসিং। জয়রামপুর রেল ষ্টেশন, দুধপাতিলা ও জয়রামপুর গ্রামের শেষ মাথায়। তিনটা রেল ক্রসিংই অরক্ষিত রেল ক্রসি। ক্রসিং গুলোতে কোনটিতেই নেই কোন গেটম্যান।
এসব অরক্ষিত ক্রসিং এর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। ফলে বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
ষ্টেশন সংলগ্ন ক্রসিং এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ আলির ছেলে আসাদ আলি প্রায় ৩বছর সেচ্ছাশ্রমে গেট ম্যানের দায়িত্ব পালন করলেও তিনি নিয়মিত সময় দিতে পারেন না ফলে বেশিরভাগ সময় থাকে অরক্ষিত।
জয়রামপুর ষ্টেশন পাড়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে হাউলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আযুব আলি স্বপন বলেন, ক্রসিং গুলোতে গেটম্যান না থাকায় প্রায় সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। প্রতি বছরই এসব স্থানে দুর্ঘটনায় সাধারন মানুষ মারা যাচ্ছে। ষ্টেশনের অদুরে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ লাইনের পূর্বদিকে রয়েছে ঐতিহ্যহাবী জয়রামপুর গুড়ের হাট। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, পথচারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে থাকে এর উপর দেয়ে।
গত মঙ্গলবার (২৪জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা গামি সুন্দরবন এক্সপ্রেক্স টেন ষ্টেশন অতিক্রম করার সময় গেটঁম্যান না থাকায় একটি পাওয়ার ট্রিলার লাইন পার হতে গিয়ে লাইনের উপর উঠার পর পাওয়ার ট্রিলারের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় স্থানীরা দ্রুত পিছন থেকে টেনে পাওয়ার ট্রিলার টি লাইন থেকে নামিয়ে নিলে একটি বড় ধরনের দুর্ঘনা থেকে তা রক্ষা পায়।
ষ্টেশন এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, গেটম্যান না থাকায় এখানে প্রায় সময় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে ক্রসিংগুলোতে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন।