দুঃখ প্রকাশ করেই রক্ষা পেলেন সাকিবরা
করোনাকালে অনেক অর্থ খরচ করে বায়োবাবল তথা জৈব সুরক্ষা বলয় বানিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ পরিচালনা করছে বিসিবি। ১২ ক্লাবের ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে অভিজাত হোটেলে। গত ৪ জুন মিরপুর স্টেডিয়ামের ইনডোরে মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুশীলনে ভেঙেছিল সুরক্ষা বলয়।
অনুশীলনে দুজন বাইরের নেট বোলার ব্যবহার করেছেন তিনি। সঙ্গে এক ভক্তও ঢুকে পড়েছিল ইনডোরে। সুরক্ষা বলয় ভাঙায় বেশ নড়েচড়ে বসেছিল বিসিবি ও লিগের নিয়ন্ত্রক সিসিডিএম (সিসিডিএম)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলেছিলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদিও বাস্তবতায় তার ছিঁটেফোঁটাও দেখা গেল না।
গত মঙ্গলবার অনলাইনে এ ঘটনার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সুরক্ষা বলয় ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছে মোহামেডান। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ক্লাবটি। তবে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে এ যাত্রা কোনো শাস্তি দেয়নি সিসিডিএম।
বুধবার এক ভিডিও বার্তায় সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে আমরা শুনানি করেছি। মোহামেডান ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা ছিলেন, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন, ম্যানেজার ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক যে সুরক্ষা বলয় ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে এটা নিয়ে তারাও অবগত, তারাও সেটা শেয়ার করেছেন। তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
তবে মোহামেডানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সিসিডিএম। কাজী ইনাম আরও বলেন, ‘আমরা বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে নিশ্চিত করতে চাই যে, সামনে টুর্নামেন্ট যেন নিরাপদে হয়। এটা নিশ্চিত করতে আমরা সব ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বায়োবাবলের পরিচালনা যেন ঠিক থাকে সেটা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি। সামনে যেন এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে এর জন্য মোহামেডান ক্লাবকেও একটা নোটিশ আমরা দিব। আশা করছি, আমরা টুর্নামেন্টটি সফলভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
Get ready to conquer the virtual battlefield Lucky Cola