দুই বছরেও মেরামত করা হয়নি বিপাকে শিক্ষাথীরা আম্পান ঝড়ের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে মহেশপুর বৈঁচিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
সর্বনাশা আম্পান ঝড় হয়েছে ২০২০ সালে। এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌর এলাকার বৈঁচিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের সেমিপাঁকা ভবনের ছয়টি শ্রেনী কক্ষের টিন উড়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ চারটি কক্ষ মেরামত করলেও ঝড়ের ক্ষত চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে স্কুলটি। আর্থিক কারনে বাকি দুইটি কক্ষ এখনও মেরামত করতে পারেননি। ক্লাস রুম ঠিক না হওয়ায় ৪’শ শিক্ষার্থী পড়েছেন বিপাকে। স্থানীয়রা জানান, মহেশপুর উপজেলার মহেশপুর পৌরসভা এলাকার বৈঁচিতলা গ্রামে ৪ একর জমির উপর ১৯৬৮ সালে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী এলাকার ছেলে-মেয়ের শিক্ষার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। মহেশপুর-বেগমপুর সড়কের ধার ঘেষে বিশাল এলাকা জুড়ে বৈঁচিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশের ছাদের ভবনটির তিনটি কক্ষের একটি শিক্ষক মিলনায়তন, বাকি দুইটিতে ক্লাস চলছে। আর উত্তর পাশের টিনসেড ভবনের ৬ টি কক্ষের তিনটিতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বাকি তিনটি কক্ষের একটিতে প্রধান শিক্ষক অপর দুইটির টিনের চাল শুন্য অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ১০ জন, আর কর্মচারি ১ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওয়ায়েজ উদ্দিন জানান, তাদের এই প্রতিষ্ঠাটি অনেক পুরানো। তাছাড়া মহেশপুর পৌরসভা এলাকায় বালক-বালিকা মিলিয়ে ৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে বৈঁচিতলা একটি। তারা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কষ্ট করে ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করে আসছেন। সব সময় তাদের শ্রেণীকক্ষ সংকট রয়েছে। এই অবস্থায় ২০২০ সালে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর তিনকক্ষের একটি একতলা ভবন তৈরী করে দেন। আর তারা নিজেরা জোড়াতালি দিয়ে ছয়টি কক্ষের একটি টিনসেড ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। যা কখনও ভেঙ্গে পড়ে, কখনও মেরামত হয়। এভাবে কষ্ট করেই চালাতে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি। তারা স্কুলের পাঠদান উপযোগি করতে ৩ লাখ টাকা খরচ করে চারটি রুম মেরামত করে নিয়েছেন। উপরে টিন দিয়ে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়েছে। এই কাজে শিক্ষকরা, প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ছাত্ররা টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এখন বাকি দুইটি কক্ষ মেরামত করতে পারছেন না। দুই কক্ষ মেরামত করতে ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা বিদ্যালয়টির পক্ষে জোগাড় করা কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। মে প্রধান শিক্ষক মোঃ ওয়ায়েজ উদ্দিন আরো জানান, ছেলে-মেয়েদের এই কষ্টের কথা চিন্তা করে তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন দিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি অল্পদিন হলো সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে ঘরের এই অবস্থার বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তারা প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থেও বিষয়টি অবহিত করেছেন। মুলত টাকা না থাকায় আম্পানে উড়ে যাওয়া টিনের চাল মেরামত করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, তিনি অল্পদিন হলো এই উপজেলায় যোগদান করেছেন। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ভবন এখনও ভালো হয়নি বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
Top strategies for winning every game Lucky Cola