দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

Share Now..

চুয়াডাঙ্গায় হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষ।

আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমের এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ এলাকার মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস স‚ত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টার পর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। সোমবার ভোরে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে।

রিকশাচালক আলম হোসেন বলেন, আজ প্রচণ্ড শীত লাগছে। ঠান্ডার জন্য রিকশা চালানো যাচ্ছে না। হাত ও পায়ের পাতা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও প্যাসেঞ্জার পাওয়ায় যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।

বেসরকারি চাকরিজীবী জামান আখতার বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। আজ প্রচণ্ড শীতের কারণে রিকশা না নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। যেন শরীরটা একটু গরম থাকে। কিন্তু হিমেল হাওয়ায় করুণ অবস্থা।

রহমান নামে একজন হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, সকালে নাস্তার জন্য হোটেলে চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজের চাপ। পানিতে হাত পড়লে মনে হচ্ছে অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর চাপ কম রয়েছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ শিশু ও বয়স্ক রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যাও বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, সোমবার সকাল ৯টার পর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। থাকবে ২-৩ দিন। এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *