দেশে ফিরেছেন শাবনূর, আসতে পারে নতুন সিনেমা

Share Now..

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর দীর্ঘ দিন ধরেই পর্দার আড়ালে আছেন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই নায়িকা একসময় নিজের সাবলীল অভিনয় দক্ষতায় মনে দাগ কেটেছেন অসংখ্য দর্শকের। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দর্শকনন্দিত এই নায়িকার শুভ জন্মদিন। আর ভক্তদের জন্য আনন্দের খবর হলো দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন শাবনূর। 

গণমাধ্যম অনুযায়ী, জন্মদিনে দেশে অবস্থান করছেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র নায়িকা। এছাড়া গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর একটি সিনেমায় কাজ করার কথা রয়েছে শাবনূরের। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে মাহফুজ আহমেদকে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ঘোষণা আসেনি।

একসময় ছয় মাস পরপর দেশে আসতেন শাবনূর। কিন্তু গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকায় আসা হয়নি তার। অবশেষে দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরলেন দর্শকনন্দিত এই নায়িকা।

এতো লম্বা সময় ধরে দেশ ছেড়ে থাকা হয়নি শাবনূরের। তাই দেশে ফেরার জন্য ব্যাপক ব্যাকুল ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সবকিছু না মেলায় দেশে আসা হচ্ছিল না তার।

শাবনূর জানান, পরিবার ও কাছের মানুষেরা ছাড়া ঢাকায় আসার খবরটা আপাতত কাউকে জানাতে চাননি তিনি। পাশাপাশি দেশে কিছু কাজ জমে আছে এই নায়িকার। তাই এই সুযোগে নিরিবিলি সেসব সেরে নিচ্ছেন শাবনূর।

এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা বলেন, অনেক দিন দেশে না থাকায় নানান কাজ জমে আছে। হাবিজাবি অনেক কাজ। অনেক। ওসব করছি। তাই চুপচাপ আছি। কাউকে জানাইনি।

এ দিকে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় ফিটনেসের বিষয়ে তেমন একটা ভাবেননি শাবনূর। সংসার ও সন্তান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিজের প্রতি খুব একটা নজর দিতে পারেননি।

তবে সিনেমায় ফেরার কথা হলে, তখন নিজের ফিটনেসের দিকেও নজর দিয়েছেন শাবনূর। পুরোপুরি ফিট হতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

শাবনূরের জন্ম ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোরে। তার আসল নাম কাজী শারমিন নাহিদ নুপুর। সিনেমায় কাজ করতে আসার পর তাকে ‘শাবনূর’ নামটি দিয়েছিলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার এহতেশাম।

তারই হাত ধরে ‘চাঁদনি রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে সিনেমায় অভিষেক হয়েছিল শাবনূরের। অবশ্য ছবিটি ব্যবসাসফল হয়নি। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরতে বেশি দিন সময় লাগেনি।

শাবনূর অভিনীত অসংখ্য সফল ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সুজন সখী’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘১ টাকার বউ’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘দুই নয়নের আলো’ ইত্যাদি। 

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রেকর্ড সংখ্যক ১৩বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন শাবনূর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *