দৌড়ে এখনো রয়েছেন যারা

Share Now..

প্রায় শেষের দিকে চলমান নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা। চলবে আর পাঁচ দিন। এরপর আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হবে সেরা আটের খেলা। ইতিমধ্যে সেই পর্বে নিজেদের আসন নিশ্চিত করে বিশ্বকাপে চোকার্স খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০২১ আসরে শিরোপাজয়ী দল অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া ঐ পর্বে যাওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত। সম্ভাবনা রয়েছে স্কটল্যান্ড, বাংলাদেশ ও সহস্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সামনেও। তবে ইতিমধ্যে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ওমান।

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবার আয়োজিত হচ্ছে ২০ দল নিয়ে। আর এই দলগুলোকে চার গ্রুপে ভাগ করে চলছে এবারের টুর্নামেন্টটি। নতুন নিয়ম অনুসারে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই খেলবে পরবর্তী রাউন্ডে। তাই চলমান আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে আসায় জমে উঠেছে সেরা আটে যাওয়ার লড়াই। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। বড়-ছোট দল বলে যেন কিছুই নেই এই ফরম্যাটে। যদিও ডি গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বি গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপে পরবর্তী পর্বে নিজেদের জায়গা। তবে যে ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে এবারের টুর্নামেন্ট, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এই পর্ব শেষে বাদ পড়ে যেতে পারে টেস্ট খেলুড়ে অন্তত চারটি দল, যার মধ্যে গেল আসরে ফাইনাল খেলা ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান রয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলও।

গতকাল সকালে আসরের ২২তম ও ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও নামিবিয়া। এই ম্যাচে নামিবিয়াকে গুঁড়িয়ে ৮৬ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জয় তুলে নিয়ে তিনে তিন করে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা আটে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া এর আগে সোমবার রুদ্ধশ্বাস ও আম্পায়ার বিতর্কের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানে জয় তুলে নিয়ে আসরে ও ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে সেরা আটে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এদিকে ২০১৪ শিরোপাজয়ী শ্রীলঙ্কা দাঁড়িয়ে রয়েছে এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে। চলমান টুর্নামেন্টে একঝাঁক তারকা তাদের দলে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সেরা আটে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকার স্বপ্ন বুনছিল হাসারাঙ্গার দল। তবে গতকাল ভোরে তাদের তৃতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। এতে নেপালের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই খুশি থাকতে হয় তাদের। এমতাবস্থায় তিন ম্যাচ শেষে হাসারাঙ্গার দল টেবিলের সবার তলানিতে রয়েছে ১ পয়েন্ট নিয়ে। হিসাবে তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেলেও কাগজে কলমে সম্ভাবনা টিকে রয়েছে এখনো।

এছাড়া গেল আসরে ফাইনাল খেলা দল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের শঙ্কা রয়েছে এই পর্ব থেকেই দেশে ফেরার। সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবার রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। তারা এখন পর্যন্ত খেলেছে দুটি ম্যাচ। তার মধ্যে প্রথমটি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হয়েছে পরিত্যক্ত, পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হেরেছে ইংলিশরা। বাটলারদের শেষ দুটি ম্যাচ নামিবিয়া ও ওমানের বিপক্ষে তো জিততেই হবে, যদি পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হয়। এছাড়া স্কটল্যান্ডকেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অন্তত ২০ রানে হারতে হবে, তবে ইংল্যান্ডকে তাদের দুই ম্যাচে জয় পেতে হবে বড় ব্যবধানে। কিন্তু যদি তাদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়, তাহলে তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে আর স্কটিশরা চলে যাবে এই গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের পর্বে। তাদের মতো অবস্থা ২০০৯ সালের শিরোপাজয়ী পাকিস্তানেরও। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে হেরে খাদের কিনারায় তারা। তবে তৃতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে খানিকটা সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে সেরা আটে যাওয়ার। ‘সি’ গ্রুপ থেকে সেরা আটে যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই দলই বলতে গেলে নিজেদের গ্রুপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, বিশেষ করে আফগানরা। তারা তাদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে এমনভাবেই গুঁড়িয়ে দিয়েছে যে, ঘুরে দাঁড়িয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে তাদের রীতিমতো কঠিন যুদ্ধ করতে হবে। তবে কিউইরা তা না পারলে আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানরাই যাচ্ছে পরবর্তী রাউন্ডে, তা প্রায় নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *